নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুরাতন গাছগুলোর বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গত ২৪ জুন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের যে রেজুলেশন করা হয়েছে, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চু্যয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আগামী ১৪ জুলাই এ বিষয়টি ফের শুনানির জন্য হাইকোর্টর দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আসবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অন্যদিকে রাস্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গত ৬ মে ‘গাছ কেটে রেস্টেুরেন্ট’ শিরোনামে দৈনিক সমকালে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আইনি নোটিশ পাঠান সংক্ষুব্ধ পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এবং সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনে সংরক্ষণের বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে ৯ মে ৬টি সংগঠন ও এক ব্যক্তি পৃথক রিটও করেন। এরপর ১১ মে ওই রিটের শুনানি নিয়ে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়।
পরে মন্ত্রণালয় আদালতকে জানায়, আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে পরিবেশবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তাদের রেজুলেশন দাখিলের এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে রিটকারী সংগঠন ও ব্যক্তি হলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ( বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।