মোগাদিশুতে একটি সেনা অ্যাকাডেমিতে এই হামলা চালিয়েছে এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী। ২০ থেকে ৩০ জনের মৃত্যু।
সোমবার (২৪ জুলাই) মোগাদিশুর জাল্লে সিয়াদ সেনা অ্যাকাডেমিতে এই হামলা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ওই সন্ত্রাসী অ্যাকাডেমির ভিতর ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় ২০ থেকে ৩০ জন নিহত হয়েছে ঘটনাস্থলেই। অন্তত ৬০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি আল কায়দার কাজ। ২০০৭ সাল থেকে তারা সোমালিয়ার সরকার উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
সোমালিয়ার সেনা মোহাম্মদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাশেই একটি সেনা ছাউনিতে ছিলাম। আওয়াজ শুনে ছুটে আসি। ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গেছে। ভয়াবহ দৃশ্য।
তিনি জানিয়েছেন, এখনো তদন্ত চলছে। কারা এর পিছনে তা স্পষ্ট করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বস্তুত, সোমালিয়ার কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৩০ বলতে শুরু করেছে। তবে প্রশাসন এখনো তা নিশ্চিত করেনি।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোয়ালিমু জানিয়েছেন, যারা মারা গেছেন, তারা কেউ সাধারণ লোক নন। সবাই সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি। যে কায়দায় তাদের মারা হয়েছে, তা ভয়াবহ।
পূর্ব আফ্রিকার অন্যতম সন্ত্রাসী দল আল শাবাব। তারা আল কায়দার একটি গোষ্ঠী। ২০০৭ সাল থেকে এই গোষ্ঠী সোমালিয়ার সরকার ফেলে দিয়ে নিজেদের সরকার সেখানে বসানোর চেষ্টা করছে। সেনা এবং বেসামরিক মানুষের উপর তারা একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে। তবে সেনাও তাদের কঠোরতম জবাব দিয়েছে। সোমবারের ঘটনা অবশ্য আগের সব হামলাকে ছাপিয়ে গেছে।