ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: মিয়ানমারে বড় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাত্রিকালীন কারফিউ জারি ও বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করা সত্ত্বেও সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী অহিংস পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বিরোধীরা। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হওয়ার পর সোমবার রাতে সামরিক জান্তা ওইসব বিধিনিষেধ আরোপ করে।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থান ও নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে বন্দি করার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারে টানা তিন দিন ধরে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে, ‘আইন অমান্য’ আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে হাসপাতাল, স্কুল ও সরকারি দপ্তরগুলোতে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলার মধ্যে সোমবার প্রথম টেলিভিশন ভাষণে সামরিক নেতা জেনারেল মিন অং হ্লাইং ফের একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ব্যাপক জয় পেয়েছিল।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তরুণ আন্দোলনকারী মং সাউংখা বলেছেন, “আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।” বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও ‘স্বৈরাচারের সম্পূর্ণ পতনের’ আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি যে সংবিধান পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীকে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে তা বিলুপ্ত করার এবং জাতিগতভাবে বিভক্ত মিয়ানমারে ফেডারেল ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।