ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: একজন আস্ট্রোফটোগ্রাফার নিজের তোলা দেড় লক্ষ ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছেন, এগুলো হলো ‘সূর্যের সবচেয়ে পরিষ্কার ছবি’। এই আস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাকার্থি সৌরজগতের বৃহত্তম নক্ষত্রের জটিল অত্যাশ্চর্য প্রকাশ করতে সূর্যের ১,৫০,০০০টি পৃথক ছবি স্তরে স্তরে বিন্যাস করেছেন।
অ্যান্ড্রু ইনস্টাগ্রামে @কসমিক-ব্যাকগ্রাউন্ড নামে পরিচিত। তার ছবিতে উঠে এসেছে সূর্যের ক্ষুদ্র গর্ত থেকে নির্গত অগ্নিগর্ভ লহর, ও একটি বিল্ডিং স্পেস ফ্লেয়ার। বিশাল ৩০০ মেগাপিক্সেল ইমেজের মাধ্যমে তিনি ছবিগুলো তুলেছেন। এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইমেজের চেয়ে ৩০ গুণ বড়।
এই ছবিগুলোতে উঠে এসেছে সূর্যের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। যেখোনে রয়েছে রহস্যময় অন্ধকারের পাশাপাশি সূর্যের বিভিন্ন দাগ ও ঘূর্ণায়মান ফেদার টাইপ নিদর্শন, যা কিনা মানুষের চোখে ধরা পড়ে না। এরকম ছবি তোলা খুবই কষ্টসাধ্য, এরজন্য প্রয়োজন বিশেষে টেলিস্কোপ, যাতে থাকবে দু’টি ফিল্টার। যার দ্বারা সূর্য রশ্মির তেজ ফটোগ্রাফারের চোখকে বাঁচিয়ে রাখবে। এই ফিল্টার দুটি না থাকলে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন ফটোগ্রাফার। অ্যান্ড্রু বলেছেন, ‘ছবি তোলার প্রক্রিয়া আমি শেষ করি নিজে সন্তুষ্ট হওয়ার পর, যখন আমি আসল অবস্থানটা তুলে ধরতে পরি।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সূর্যের ছবি তুলতে গেলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এটি সত্যিই আকর্ষণীয় ও সব থেকে আলাদা।’
পাশাপাশি এই আস্ট্রোফটোগ্রাফার বলেছেন, ‘যদিও আকাশ কতটা পরিষ্কার তা বোঝার জন্য চাঁদ হল উপযুক্ত মাপকাঠি। তবে সূর্য কখনই বিরক্তিকর নয়।’ সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নক্ষত্র, এটি গরম প্লাজমার প্রায় নিখুঁত গোলক ও বিকিরণকারী শক্তি। এটির ব্যাস ১.৩৯ মিলিয়ন কিমি, এবং এটি পৃথিবীর ভরের ৩৩,০০০ গুণ। সূর্যের তিন চতুর্থাংশ হাইড্রোজেন দিয়ে তৈরি। এছাড়াও রয়েছে হিলিয়াম, অক্সিজেন, কার্বন, নিয়ন এবং লোহা। এটি একটি জি-টাইপ প্রধান সিকোয়েন্স নক্ষত্র, যাকে কখনও কখনও হলুদ বামন বলা হয়।
অ্যারিজোনায় বসবাসকারী অ্যান্ড্রু বলেছেন, ‘অত্যন্ত চমকপ্রদ কিছু সৃষ্টি করতে আমি একটি পরিবর্তিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছি। যারা দ্বার তোলা ছবিগুলি আমাকে বিশদভাবে অবিশ্বাস্য সূর্য দেখার অনুমতি দিয়েছে।’
- সূর্য: মৌলিক বিষয়
- নাম: সূর্য
- গ্রহ সংখ্যা: আট
- বর্ণালী প্রকার: জি২
- দূরত্ব: ২.৭×১০^১৭ কিমি
- ভর: ১.৯৮৮৫×১০^৩০ কেজি
- ব্যাসার্ধ: ৬৯৬,৩৪২ কিমি
- উজ্জ্বলতা: ৩.৮২৮×১০^২৬ ওয়াট
- তাপমাত্রা: ৯,৯২৯ ফারেনহাইট
- বয়স: ৪.৬ বিলিয়ন বছর
আরো পড়ুন: