ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে উস্কে দেওয়ার অভিযোগে মামলার রায় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন দেশটির এক আদালত।
মঙ্গলবার দেশটির এক আদালতে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল। সু চিকে বছরের পর বছর আটকে রাখতে পারে এমন একটি ধারাবাহিক রায়ের মধ্যে এটিই প্রথম। খবর রয়টার্সের
মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। তখন থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে ১ হাজার ২০০ র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি।
সেনাবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তার বিরুদ্ধে আরও ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১০২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানির মাধ্যমে সু চির বিচার হচ্ছে। সামরিক সরকারের বিশেষ আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সু চির আইনজীবীদের সংবাদমাধ্যমে কথা বলা নিষেধ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ নিয়ে সিরিয়ায় ‘নতুন শহর’ বানাচ্ছে তুরস্ক