‘করোনার দুই বছরে অনেক টাকা লোন হয়ে গেছে। এই লোনের টাকা আমার পক্ষে এখন শোধ করা সম্ভব নয়… চাপ দিচ্ছে, আমি রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।’ এমনই এক সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন ভারতের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে সোনার দোকানে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যবসায়ীর নাম তপন পাল (৫৪)।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে দোকানের এক কর্মী এসে দেখেন তপন পালের সোনার দোকানটি খোলা থাকলেও বাইরে থেকে তালা লাগানো রয়েছে। তার সন্দেহ হওয়ায় দোকান মালিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে পরিবারের লোকেরা এসে তালা ভেঙে দোকানে ঢোকেন। দোকানে ঢুকে দেখেন তপন পালের ঝুলন্ত দেহ। পরিবার জানায়, দোকান খোলার জন্যই তপন সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
পরে পুলিশ এসে দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার করে মালিক তপন পালের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে ওই ব্যবসায়ী লিখেছেন, কারোনার এই সময়ে ব্যবসা নেই বললেই চলে। এরই মাঝে পাওনাদারদের চাপ রয়েছে। দোকান ভাড়া কমানোর বদলে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
মৃতের পাশে পড়ে থাকা একটি চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদি পারেন তো আমাকে ক্ষমা করবেন। আর বেশি কিছু লিখলাম না।’
চিঠিতে আরও লেখা, মাসিক আয় কমেছে এই করোনাকালে। এখন সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। তার ওপর দেনা মেটানোর জন্য বেশি চাপ তৈরি করেছে। যদিও তার এই আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। শোকের ছায়া ব্যবসায়ীর পরিবারে। ব্যবসায়ী মহলও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশও মনে করছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা।