ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা। চলতি বছরের চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিদ্যা, সাহিত্য ও অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। তবে শুধুমাত্র নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে জানানো হবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম।
নোবেল কমিটির তথ্য মতে, বাংলাদেশ সময় আজ ৪ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টায় স্টকহোম ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট থেকে কমিটির সেক্রেটারি প্রফেসর থোমাস পেরলমান ঘোষণা দেবেন চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীর নাম। আর কাল ৫ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৪টায় দ্য রয়াল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের সেক্রেটারি গুন্নার ইঙ্গেলমান পদার্থবিদ্যায়, ৬ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৪টায় দ্য রয়াল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের সেক্রেটারি পিটার ব্রজেজিনস্কি রসায়নবিদ্যায়, ৭ অক্টোবর বিকেল ৫টায় দ্য রয়াল সুইডিশ একাডেমির চেয়ারম্যান আন্দেরস উলসন সাহিত্যে এবং ৮ অক্টোবর অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিত রেইস-অ্যান্ডেরসেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবেন। দ্য রয়াল সুইডিশ একাডেমি অব ইকোনমিক সায়েন্সের সভাপতি পিটার ফ্রেডরিকসন ১১ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৪টায় ঘোষণা করবেন অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম।
২০২০ সালে নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লারস হেইকেনস্টেন নোবেল পুরস্কারের প্রাইজমানির পরিমাণ এক মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার বাড়ানো ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ জুন তৎকালীন মূল ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনারের প্রাইজমানিকে ‘অর্থসঞ্চয়ী’ কর্মসূচির আওতায় ২০ শতাংশ কমিয়ে আট মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার করা হয়েছিল এবং ২০১৭ সালে তা কিছুটা বাড়িয়ে ৯ মিলিয়নে উন্নীত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে লারস হেইকেনস্টেনের ওই ঘোষণার পর নোবেল পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ আগের সেই ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনারে ফিরে আসে, যা বর্তমানেও বহাল রয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর এই পুরস্কারের জনক বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বিষয়ের বিজয়ীদের হাতে ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউনের চেক, একটি মানপত্র ও একটি স্বর্ণপদক প্রদান করার কথা থাকলেও কভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও সব অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।
এ বছরও স্টকহোমের কনসার্ট হলে আসবেন না কোনো নোবেল বিজয়ী। সুইডেনের রাজা কার্ল গুস্তভ কারো গলায় পরাবেন না নোবেল পুরস্কারের সোনালি পদক। তবে ১০ ডিসেম্বর টেলিভিশন ও অনলাইনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে, যেখানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নোবেল বিজয়ীরা তাদের বক্তব্য দেবেন। এছাড়াও বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে।
উল্লেখ্য, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে নোবেল পুরস্কার। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইলে পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কারের কথা উল্লেখ থাকলেও অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা ছিল না। ১৯৬৮ সালে দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের দেওয়া এক বিশেষ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
অর্থনীতির পুরস্কারটি নোবেলের অন্যান্য পুরস্কারের মতো একই সময় ঘোষণা ও প্রদান করা হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্যও নোবেলের অন্যান্য পুরস্কারের মতো সমান হওয়ায় সম্মাননার দিক দিয়ে তা নোবেল পুরস্কারের সমকক্ষ। অর্থনীতির পুরস্কারটি ‘বিকল্প নোবেল পুরস্কার’ হিসেবেও পরিচিত।
আরো পড়ুন: