প্রচ্ছদ

সীমান্ত খুলছে অস্ট্রেলিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে সীমানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

স্কট মরিসন বলেন, করোনা মহামারির কারণে হাজার হাজার অস্ট্রেলিয়ান বিদেশে আটকা পড়েছেন। আবার বাইরের দেশের অনেকেই সেখানে আটকা রয়েছেন। ৮০ শতাংশ করোনার টিকা নেওয়া স্টেটগুলোতে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ানরা ফিরে আসতে এবং সেখান থেকে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় এসেছে অস্ট্রেলিয়ানদের তাদের জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার। এর জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। অস্ট্রেলিয়া খুব শিগগির টেক অফের জন্য প্রস্তুত হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের দেশ ছাড়তে দেওয়ার জন্য এই স্টেটটি ‘টেস্ট-বেড’ হয়ে উঠতে পারে। সবার আগে সেখানেই পর্যটকদের ভ্রমণের বিষয়ে অনুমতি আসতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বার্মিংহাম।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। সেই নির্দেশনা এখনও চালু আছে। তবে নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ওই নিষেধাজ্ঞা অন্তত এক মাস আগে তুলে নেওয়া হতে পারে।

সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের মতে, অন্তত ২ লাখ ১০ হাজার ৬৭৯ জন অস্ট্রেলিয়ানকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১ লাখ ২২ হাজার ১৩১ জনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

পুরোপুরি টিকা দেওয়া অস্ট্রেলিয়ানদের হাজার হাজার ডলার ব্যয়ে হোটেলগুলোতে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের থাকতে হবে না। দেশে ফিরে বাড়িতে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাদের।

তবে টিকা না নেওয়া অস্ট্রেলিয়ানদের হোটেল বা ডেডিকেটেড জায়গায় ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। একজন বিদেশফেরত ব্যক্তির করোনা সংক্রমণের পর দেশটির ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের রাজধানী পার্থে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন:

মার্কিন ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন আফগানরা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *