নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: অপরাধী চিহ্নিত করাসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাবনার গ্রামীণ হাটবাজারগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া, জনবহুল এলাকায় এই ক্যামেরা বসানো হলে বাড়বে নজরদারি, চিহ্নিত হবে মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন উদ্যোগে সহায়তা করছেন ব্যবসায়ীরাও।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর গুজব ছড়িয়ে পাবনার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বনগ্রাম বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিচারের আশ্বাস দিলেও প্রমাণের অভাবে ঘটনার ৮ বছরেও বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি নেই।
এ ঘটনাই নয় জেলার সকল হাটেই বড় অংকের অর্থ লেনদেনকে টার্গেট করে সক্রিয় অপরাধী চক্রের তৎপরতায় অহরহ ঘটে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির ঘটনা।
অপরাধীরা জনসমাগমে মিশে যাওয়ায় শনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। প্রমাণের অভাবে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে পাবনার সকল হাট বাজারকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ও দুবলিয়া হাটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিসিটিভি লাগানোয় ভালো হয়েছে, উপকার হয়েছে। এখন ইচ্ছে করলেও চোররা চুরি করতে পারবে না বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, হাটগুলোকে অপরাধমুক্ত রাখার জন্য এবং অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সেটার জন্য সিসিটিভি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলার সকল জনবহুল হাট, বাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হলে, অপরাধীরা অপকর্মের সাহস পাবে না বলে আশাবাদ পাবনা পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খানের। তিনি বলেন, পুরো পাবনা জেলাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কোন অপরাধ সংঘটিত হলে আমরা যাতে সে সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রমাণ দ্রুত পেয়ে আসামিদের সাজা নিশ্চিত করতে পারি।
কৃষি ও তাঁতশিল্প প্রধান এলাকা পাবনার বড় হাটগুলোতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য কিনতে আসেন পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকার।
সিসি ক্যামেরা নজরদারিতে এসব হাটে সুরক্ষিত নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
- ‘কোভিড হিরো’ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
- রাজশাহী সিটির হটলাইনে কল করলেই মিলবে অক্সিজেন