প্রচ্ছদ

সিলেট নগরে গণটিকাদান চলবে তিনদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। নারী-পুরুষের লাইন আলাদা। এক পলকে মনে হবে ভোটের জন্য ভোটাররা হয়তো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু এই দৃশ্য ভোটের নয়, ছিল করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে আসা মানুষের। শুরুতে যাদের করোনার টিকা নিয়ে ছিল নানা সন্দেহ, অবিশ্বাস; তারাও শনিবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নিয়েছেন টিকা। টিকায় যেন মানুষ মুক্তি খুঁজছেন করোনার।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় রেডক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম একদিনে সীমিত করা হলেও সিলেট সিটি করপোরেশন এই টিকাদান তিনদিন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তিনদিনে তারা ৫৬ হাজার ৬০০ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকার ব্যবস্থা করছে। সামনে আরও প্রচুর টিকা দেশে আসবে। টিকার কোন সংকট হবে না।’

এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে এক যোগে শুরু হয় টিকাদান। এছাড়া জেলার আওতাভূক্ত ১৩টি উপজেলায় ১০০টি কেন্দ্রে দেয়া হয় গণটিকা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত গণটিকা দেয়ার কথা থাকলেও অনেক কেন্দ্রে টিকাগ্রহীতাদের চাপ থাকায় বিকেল ৪টার পরও টিকা দিতে দেখা গেছে। নগরের মতো উপজেলাগুলোতেও ছিল টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড়। বেশিরভাগ কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে যায়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনদিন টিকা দেয়া হবে। প্রথম দিন ২৪ হাজার ২শ’ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে কোন ভয় নেই, তারা স্বত:স্ফূর্তভাবে টিকা দিতে কেন্দ্রে আসছেন। রবিবার ও সোমবার ১৬ হাজার ২শ’ করে আরও ৩২ হাজার ৪শ’ মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে সিটি করপোরেশনের- জানান ডা. জাহিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *