নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষর হলে দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরামর্শ সভায় অংশগ্রহনকারী সরকার ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত সিইপিএর যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বাংলাদশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটকে (বিএফটিআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়। যৌথ সমীক্ষার পণ্যখাত বিষয়ক পর্যালোচনার ফলাফল তুলে ধরার  উদ্দেশ্যে বিএফটিআই রোববার অংশীজন পরামর্শ সভার আয়োজন করে। এর আগে বিএফটিআইয়ের স্টাডির আওতায় সেবা ও বিনিয়োগ খাত বিষয়ক দুইটি অংশীজন পরামর্শ সভা আয়োজন করে।

বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট প্রভৃতি উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতি হলেও ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ  আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

ড. মো. জাফর উদ্দীন আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সফল বাণিজ্যিক চুক্তি (সিইপিএ) কেবলমাত্র দুই দেশের কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আয় বাড়াতেই সাহায্য করবে না, একই সাথে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করবে। বিএফটিআইয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম সভা পরিচালনা করেন।

সভায় যৌথ সমীক্ষায় নিয়োজিত লিড কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান সমীক্ষার বিশেষ কিছু অংশ তুলে ধরেন। সমীক্ষার পণ্য বাণিজ্য বিষয়ে নিয়োজিত সেক্টর কনসালট্যান্ট ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহা-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীরসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বারের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

তারা সবাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এই চুক্তি, দুই দেশের বাণিজ্য বাঁধাসমূহ দূর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং একই সাথে তারা যৌথ টেস্টিং সার্ভিস, ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর জোর দেন।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ গবেষণা পরিচালনা করছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড (আইআইএফটি)।

আরো পড়ুন:

নগদ থেকে ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা লভ্যাংশ পেল ডাক বিভাগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *