ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এস জয়শঙ্কর রবিবার বলেন যে, সারা বিশ্ব ভারতের আধুনিকায়নে মুগ্ধ।
২০১৪ সালে, দেশের ছয় কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ডের আওতায় আসে। আজ সে পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটিতে। তখন শুধুমাত্র ২৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন, বর্তমানে এ সংখ্যা ৮৫ কোটি। দেশজুড়ে ২৫ লাখ কিলোমিটারের অপটিক্যাল ফাইবার বসানো হয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি মাসে ৮০০ কোটি ইউপিআই লেনদেন করা হয়। প্রতিদিনই সাত কোটি নতুন রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। দারিদ্রতা, আমলাতন্ত্র, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সব সামলিয়েই দেশ এখন নতুন আশার আলো দেখছে।
ভারতের করোনা মোকাবেলার প্রক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, গত তিন বছরে, ভারত প্রথম থেকেই পিপিই, ভ্যান্টিলেটর প্রস্তুতকারক। ভারত প্রথম থেকেই করোনাকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনের সাথে সাথে ভ্যাকসিন রপ্তানিও করেছে ভারত।
এই সপ্তাহের শেষে, দুই দিনের সফরে কর্ণাটকে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। এ সফরে তিনি বেঙ্গালুরুতে অবস্থান করবেন এবং হুব্বালি ও বেলাগাভি জেলাতেও যাবেন।
বেঙ্গালুরুতে জনসাধারণের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ভারতের জি-২০ আয়োজনের মূল বক্তব্য হলো বিশ্বকে ভারতের জন্য প্রস্তুত করা এবং ভারতকে বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করা।
বিশ্ব যখন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তখন এই ক্রান্তিকালে জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব এসে পড়েছে ভারতের কাঁধে। জি-২০ এর সদস্য নয় এমন ১২৫ টি দেশের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যা শুনেছে ভারত এবং সেগুলোকে সমাধানের চেষ্টা করছে। সাধারণত সদস্য দেশগুলোর রাজধানী এবং অন্যান্য ২-৩ টি প্রধান শহরে জি-২০ বৈঠক বসে। কিন্তু ভারতের লক্ষ্য হলো অন্ততপক্ষে ৬০ টি শহর, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা।
বিশ্বের প্রতিটি ছোট ছোট শহরও যেন চলমান বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতন হয় এ উদ্দেশ্যটিই পূরণ করতে চায় ভারত।
এমএইচডি/আইকেজে
আরো পড়ুন:
চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা