নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা এই মানববন্দন করেন।
এসময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম নিজেদের মতো করে পালন করে, কিন্তু উৎসব সবাই ভাগ করে নেয়। বাংলাদেশের শারদীয় দুর্গোৎসব সারা পৃথিবীতে একটি উদাহরণ। এসময় সব ধর্মের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এই উৎসবে অন্তর্ভুক্ত হয়, অংশগ্রহণ করে। তবে মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ধিকৃত ঘটনা আমাদের দেখতে হয়। এটা এই জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্য এবং দুঃখজনক।’
‘বিচ্ছিন্নভাবে হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটেছে, তা নিন্দনীয়, যা কোনোক্রমেই গ্রহণ করা যায় না। সরকারের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করুন। চিহ্নিত করার বহু এজেন্ট আছে। স্থানীয়ভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষরা তো আছেই, একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, আপনারা অধিকতর তৎপর হয়ে তাদেরকে আইনের শাসনের আওতায় নিয়ে আসুন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এসব ঘটনা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘটে আসছে। কিন্তু কোনো হামলার বিচার হয় না। এসব ঘটনা ঘটলে হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, এতে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’
এসময় ঢাবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুর রহিম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান, নীল দলের আহ্বায়ক ড. মো. সামাদ, গণিত বিভাগের শিক্ষক চন্দ্রনাথ পোদ্দার এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
আরো পড়ুন:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী