করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা, জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির না করায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে শোকজ করেছেন আদালত।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তিন জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। এর মধ্যে মশিউর রহমান নামে এক সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। অপর দুই সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। দুই সাক্ষী হাজির করতে না পারার কারণে আদালত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কাছে, কেন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়নি সে ব্যাখ্যা চেয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত। আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষ হওয়ায় গত বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।