সইয়ামি খেরের নতুন চরিত্র ফিরিয়ে নিয়ে গেল ষাটের দশকে। ছবির নাম জানা যায়নি। তবে নায়িকার চেহারা পর্দা সে যুগের পর্দামাতানো অভিনেত্রী নার্গিস দত্তের মতো।
অতীতের অভিনেত্রী সম্পর্কে কিছু আছে যার অনুগ্রহ সম্পূর্ণরূপে অস্পৃশ্য। অনেক তরুণ অভিনেত্রী এটি চেষ্টা করেছেন কিন্তু খুব কমই সফল হয়েছেন। সইয়ামি খেরের সাম্প্রতিক ছবিগুলিতে, অভিনেত্রী সময়মতো ফিরে যেতে পারেন। সাদা-কালো ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর পরনে সাদামাটা সুতির শাড়ি। কপালে ছোট্ট টিপ। আলগোছে বিনুনি ঘাড়ের কাছে শেষ। সইয়ামি খেরের নতুন লুক ফিরিয়ে নিয়ে গেল ষাটের দশকে। ছবির নাম জানা যায়নি। তবে নায়িকার চেহারা সে যুগের পর্দা মাতানো অভিনেত্রী নার্গিস দত্তের মতো। জানা যায়, ১৯৫৮ সালে নার্গিসের ছবি ‘লাজবন্তী’র লুক পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে নতুন এই প্রকল্পে। প্রতিটি ফ্রেম সাদা-কালো।
ছবি নিয়ে রোমাঞ্চিত সইয়ামিও। বললেন, “নার্গিস দত্ত এক জন কিংবদন্তী। তাঁর সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে এটুকুই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। সম্মানিত বোধ করছি। অভিনয়ে, সৌন্দর্যে বা উপস্থিতিতে তিনি সব দিক দিয়ে নিখুঁত ছিলেন। আমি তাঁর বেশির ভাগ সিনেমা পছন্দ করি। ‘শ্রী ৪২০’, ‘আগ’ এবং ‘মাদার ইন্ডিয়া’ তার মধ্যে আমার প্রিয়। সব সময় ভাবি, সেই যুগে বেঁচে থাকা এবং কাজ করা কেমন হত! সাদা-কালো ছায়াছবিতে কাজ করা আমার কাছে স্বপ্ন ছিল।”
২০২২ সাল অত্যন্ত ব্যস্ততায় কাটছে সইয়ামির। শীঘ্রই গুলশান দেবাইয়ার বিপরীতে একটি কাজ শুরু করবেন তিনি। রাহুল ঢোলাকিয়ার ‘অগ্নি’তেও দেখা যাবে তাঁকে। অগ্নিনির্বাপকদের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবি। যদিও প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ছবির শ্যুটিং সেপ্টেম্বরেই শুরু হয়েছে। বেশির ভাগটা মুম্বই এবং দিল্লিতে হবে। সেই সঙ্গে শীঘ্রই ‘ব্রিদ ইনটু দ্য শ্যাডো’ সিজন ৩ এবং ‘ঘূমার’-এ দেখা যাবে সইয়ামিকে।