টেলিপাড়ায় চাউর, নতুন ধারাবাহিক ‘লালকুঠি’র প্রযোজক সম্ভবত সুরিন্দর ফিল্মস। রুকমাকে ফিরতে দেখে খুশি তাঁর অনুরাগীরা। ধারাবাহিকের শ্যুট কবে থেকে শুরু? রুকমার বিপরীতেই বা দেখা যাবে কাকে? সব বিষয়েই আপাতত মুখে কুলুপ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, নিশপাল রানে এবং রুকমার। প্রচার ঝলকে ব্যবহৃত হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া জনপ্রিয় ‘ঘুম ঘুম চাঁদ’ গানটি।
সোমবার রাত থেকে এক মুঠো রহস্য ছড়িয়ে দিয়েছেন রুকমা রায়। লাল বেনারসী, গয়নায় সেজে ওঠা অভিনেত্রীকে ঘিরেই এই রহস্য। বিশাল ফাঁকা বাড়িতে তিনি একা। কোনও নিমন্ত্রণ রক্ষায় বেরোতে যাবেন, অঝোরে বৃষ্টি। রুকমা বন্দি নিঝুম পুরীতে। হঠাৎই কার ছায়া দেওয়ালে? চমকে উঠে পিছনে ফিরতেই সশব্দে দরজা বন্ধ। বন্দি অভিনেত্রী। আচমকা তাঁর পাশের দেওয়ালে এসে বিঁধল রক্তমাখা ছোরা। ‘‘কে গো…?’’ বলার আগেই ভয়ে গলার স্বর আটকে গিয়েছে তাঁর।
এই প্রচার ঝলক নতুন ধারাবাহিক ‘লালকুঠি’র। যা আসতে চলেছে জি বাংলায়। ঝলক দেখে স্পষ্ট, বড় পর্দা, সিরিজের অতি জনপ্রিয় রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানা এ বার দানা বাঁধতে চলেছে ছোট পর্দাতেও। শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব, একঘেয়ে ঘরোয়া গল্প সরিয়ে স্বাদবদলের পালা এখানেও। একই সঙ্গে আরও একটি জিনিস মনে করিয়ে
দিয়েছে। ১৯৭৮ সালের দ্বিভাষিক ছবি ‘লালকুঠি’র কথা। কনক মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় হিন্দি এবং বাংলায় তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত ছবিটি। যা আদতে ভৌতিক মনে হলেও শেষে দর্শকেরা জানতে পারবেন, পুরোটাই রহস্যকাহিনি!