নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বৈধ পাখির চালানের নাম করে দেশে আনা হচ্ছিল অননুমোদিত সাতটি লাফিং কুকাবুরা পাখি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়লে সেগুলো পাঠানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। পাখিগুলো এখানে কোয়ারেন্টিনে আছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাখিগুলো সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার অবৈধভাবে আমদানি করা সাতটি লাফিং কুকাবুরা বিমানবন্দরে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ জব্দ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পাখিগুলোকে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। বুধবার পাখিগুলোকে রাখা হয় বন্য প্রাণী কোয়ারেন্টিনে। পাখিগুলো হস্তান্তর করেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।

আজ সকালে সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, লাফিং কুকাবুরা পাখিগুলোকে একটি বিশেষায়িত ঘরে রাখা হয়েছে। এগুলো দেখতে অনেকটা মাছরাঙার মতো। তবে লাফিং কুকাবুরা আকারে মাছরাঙা থেকে অন্তত চার গুণ বড়। গায়ের রং সাদা-কালোর মিশ্রণ। পাখিগুলোকে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে শিং মাছ।

বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা বলেন, ঢাকার সিনান বার্ড ফার্মিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাখিগুলো অবৈধভাবে আমদানি করেছে। মূলত ককাটেল ও ম্যাকাও পাখি আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়। পরে সেই অনুমতি নিয়ে নেদারল্যান্ড থেকে ককাটেল ও ম্যাকাও পাখির সঙ্গে সাতটি লাফিং কুকাবুরা পাখি আমদানি করে। পরে সেগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে। ইতিমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।

এর আগে বন্য প্রাণী ও পাখি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমেরি ট্রেডিং ও গোল্ডেন কেজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অন্যায় কাজ করেছিল। তাদেরও জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল বলে জানান নিগার সুলতানা।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ১৫ দিন পাখিগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এরপর সাফারি পার্কের মধ্যেই তাদের বসবাস উপযোগী পরিবেশে রাখা হবে।

আরো পড়ুন:

হঠাৎ দেখা মিলল ‘অতি দুর্লভ’ চিত্রা শালিকের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *