ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জমা হচ্ছে সাগরে। সাগরের সেই বর্জ্য বৈশ্বিক পরিবেশের জন্য অন্যতম বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ এসব বর্জ্য পদার্থ সমুদ্রে দীর্ঘদিন থেকে যাচ্ছে এবং মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী এগুলো খাবার মনে করে খেয়ে নিচ্ছে। ফলে তা এক পর্যায়ে মানুষের খাবারের প্লেটেও পৌঁছাচ্ছে।
তবে এবার সাগরে নতুন এক যন্ত্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন গবেষকরা। এ যন্ত্র বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সাগর থেকে ছেকে নিবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। সাগরের এত বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে যে তা পরিষ্কার করার আশা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে ১৮ বছর বয়সী এক ডাচ তরুণ আশা ছাড়েননি। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সময় নিজের উদ্ভাবিত একটি ফিল্টার নিয়ে তিনি সাগর পরিষ্কারের আশা করছিলেন। বোয়ান স্লাট নামে সে তরুণের পরিকল্পনাতেই যন্ত্রটি তৈরি হয়েছে।
সাগর পরিষ্কারের জন্য অর্থ সংগ্রহে স্লাট একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন, যার নাম দ্য ওসেন ক্লিনআপ। সে ফাউন্ডেশনের অর্থে এবার চালু হতে যাচ্ছে সাগরের প্লাস্টিক ফিল্টারটি।
আগামী শনিবার ডিভাইসটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘গ্রেট প্যাসিফিক গার্বেজ প্যাচ’ এলাকায় প্রথম প্লাস্টিকের ফিল্টারটি কাজ করবে। এ এলাকাটি হাওয়াই ও কালিফোর্নিয়ার মাঝে অবস্থিত এবং এখানে প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন টুকরো প্লাস্টিক আছে।
গবেষকরা আশা করছেন প্রায় ৬০০ মিটার লম্বা এ ফিল্টারের সহায়তায় পাঁচ বছরে প্রায় ৪০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগর থেকে পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।
সাগর বুকেই বিশেষ সেই ফিল্টার বসানো থাকবে৷ আর তার দুই পাশে থাকবে বিম৷ সাগরের স্রোতের সাথে ভেসে প্লাস্টিক আবর্জনাগুলো বিমের বাধায় ফিল্টারের মাঝে গিয়ে পৌঁছাবে৷ পরে সেগুলো সংগ্রহ করা হবে৷ অর্থাৎ স্লাটের বক্তব্য হচ্ছে, প্লাস্টিকের পেছনে না ছুটে প্লাস্টিকই ফিল্টারের কাছে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ ফিল্টারের ছাদে সৌর প্যানেল রয়েছে৷ এই প্যানেল থেকেই ফিল্টারটি প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংগ্রহ করবে I