নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’- কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। রোববার সকালে কারওয়ান বাজার এলাকায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারে জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সরকারও এ বিষয়ে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় আজ সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও প্রচারণা চালানো হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংগঠনের সদস্য সচিব ডাক্তার মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)-সহ আরও অনেকে।

তারা কারওয়ান বাজার এলাকায় সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ (যাদের মুখে মাস্ক নেই) তাদের মাস্ক পরিয়ে দেন এবং এটি নিয়মিত ব্যবহারের জন্য প্রচারণা চালান।

এসময় প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব আজ আক্রান্ত। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের বড় বড় চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা এ জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যেমন- ঘরের বাইরে গেলেই মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, বারবার হাত-মুখ ধোয়া ইত্যাদি। আমাদের দেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আশার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজের এই কর্মসূচীকে সাধুবাদ জানাই। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীর হিসেব নয়, প্রত্যেকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে এসে এর মোকাবেলা করতে হবে।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সরকারের নেতৃত্বে একটি ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। সব সময়ই আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, যেখানে লুকিয়ে আছে সম্প্রীতির কথা, অসাম্প্রদায়িকতার কথা, সর্ব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার কথা- সেটিই সমুন্নত রাখার চেষ্টা করি। পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার কাজও সর্বাগ্রে সবাইকে নিয়ে করার জন্য এগিয়ে আসি। এবারও তাই করেছি। গতবছর যখন ডেঙ্গু ছিল তখনও কাজ করেছি। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও সামাজিক সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মূহুর্তে ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’

সংগঠনের সদস্য সচিব ডাক্তার মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুর দিকে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে। এখনও সচেতনতার জায়গাটা খুবই দুর্বল। সেই প্রেক্ষাপটেই আজকের এই কর্মসূচী। আমরা জানি এটি একটি সামান্য উদ্যোগ, কিন্তু এটা দেখে অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যদি অনুপ্রাণিত হয় এবং উদ্যোগ নেয় তবে মানুষ উপকৃত হবে। আর সে জন্যই এই উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *