সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধের জন্য বাড়লো মিঠাপানির মাছের দাম
চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধের জন্য বাড়লো মিঠাপানির মাছের দাম। রুই, কাতল, মৃগেল ও চিংড়ির দাম কেজিতে ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বড় আকারের তাজা কাতল। এক একটি মাছের ওজন ৪-৬ কেজি পর্যন্ত। চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে এই মাছ প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আকৃতির রুই মাছ ২৫০ টাকা আর মৃগেলের বাজারদর ২০০ টাকা। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম। তাই ৫০-৭০ টাকা বেশি দামে মিঠাপানির নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, সাগরে মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় এখন মাছের বাজার একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ২ কেজি আকারের রুই মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩ কেজি আকারের কাতল ৩২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া দাম বাড়তির তালিকায় সাতক্ষীরা ও খুলনার বাগদা ও গলদা চিংড়িও রয়েছে। বাগদা কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা আর গলদা ৯০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি ব্যবসায়ীরা বলেন, সাতক্ষীরার বাগদা চিংড়ি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দিনের তুলনায় আজ মাছের দাম বাড়তি।
এদিকে মাছচাষিদের দাবি, মাছের খাবারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ অনুসারে লাভবান হচ্ছেন না তারা। তারা বলেন, ‘মাছের খাবারের যে দাম, সে তুলনায় আমরা মাছের দাম পাচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, টেকনাফ, খুলনা, সাতক্ষীরা থেকে ট্রাকে ট্রাকে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে মাছ আসে।