নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে উঠছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে হলে উঠা শুরু করেছেন এসব বর্ষের শিক্ষার্থীরা। গতবারের মত এবারও ফুল, চকলেট ও মাস্ক দিয়ে হলে আসা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান হলের আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি হলের গেটে স্থাপিত হাত ধোয়ার বেসিন ও ক্যান্টিন ঘুরে দেখেন। পরে হলে উঠা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললাম, তারা সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাবেদ ও জানালেন, হলের ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়েছে। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। এভাবে যেন সব বিভাগ ও ইন্সটিটিউট তাদের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এইজন্য আমরা তাড়া দিয়েছি।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের যেসকল শিক্ষার্থী ‘কোভিড-১৯’-এর অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যদিও হলসমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব বর্ষের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই হলে উঠে গেছেন। এমনকি তাদের অনেকে এ মাসের শুরু থেকেই হলে অবস্থান করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের আগেই হলে অবস্থান করা এসব শিক্ষার্থীকে হলে থেকে নামিয়ে দেওয়ার কোনও পদক্ষেপ হল প্রশাসন থেকে দেখা যায়নি।
একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে মাস্টার্সের ফলাফল ঘোষিত হয়ে গেছে এমন শিক্ষার্থীদের বেলায়ও। বেশ কয়েকটি হলে এমন অছাত্ররা উঠলেও তাদের ব্যাপারে হল প্রশাসন ‘গা বাঁচিয়ে চলার নীতি’ অনুসরণ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, সবাই এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করলে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ
