নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর একমাত্র নদী বন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। যাত্রীদের জন্য নতুনরূপে পুরোনো পন্টুন সংস্কার করে নতুন পন্টুন বসিয়ে সাজানো হচ্ছে টার্মিনাল। দীর্ঘদিনের পুরোনো গ্যাংওয়েগুলো সংস্কার করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক বিলবোর্ড।
লকডাউনের মধ্যে দিয়েই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের রূপ পাল্টে গিয়েছে। খালি জায়গায় নতুন পন্টুন স্থান পেয়েছে টার্মিনালে। পুরোনো পন্টুন ও গ্যাংওয়েগুলো সংস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সদরঘাটের উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ হিসেবে কাজ করা হচ্ছে মুরিং বোলার্ড, ব্যাংক প্রটেকশন, স্টিল স্প্যাড, আরসিসি র্যাম্প নিয়ে। সদরঘাটের উন্নয়ন কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে সদরঘাটের লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াইজ ঘাট টার্মিনালের পুরাতন পন্টুনগুলো সংস্কার করার পাশাপাশি নতুন পন্টুন বসানো হচ্ছে। পূর্বে সদরঘাট টার্মিনালে ১৮টি পন্টুন ছিল। নতুন করে ৮টি পন্টুন যোগ করায় বর্তমানে টার্মিনালে সর্বমোট ২৬টি পন্টুন রয়েছে। গ্যাংওয়ে আছে মোট ১৬টি।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আধুনিকায়ন দেখে মুগ্ধ বরিশালের যাত্রী মো. আফতাব হোসেন। তিনি বলেন, আগে পুরোনো পন্টুনের ওপর দাঁড়াতে কিছুটা ভয় লাগতো। লঞ্চের ধাক্কায় খুব জোরে পুরোনো পন্টুনগুলো কেঁপে ওঠতো। তা ছাড়া পূর্বে অনেক পন্টুন ভাঙাও ছিল। জায়গায় স্বল্পতার কারণে গাদাগাদি করে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করা লাগতো। এখন আর সেই সংকীর্ণতা থাকবে না। সদরঘাটের এমন পরিবর্তন সত্যি প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ঢাকা নদী বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের একটা অংশ হচ্ছে পুরোনো পন্টুন সংস্কার ও নতুন পন্টুন স্থাপন। পন্টুনের পাশাপাশি গ্যাংওয়েগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সদরঘাটে আগে ১৮টি পন্টুন ছিল, এখন ২৬টি করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যে পন্টুনগুলো প্লেট করা ও পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া টার্মিনালে আধুনিক বিলবোর্ডসহ নতুন অনেক কিছু যুক্ত করা হয়েছে।