ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মোটরসাইকেল চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে ১৯ বছরের তরুণ এমানুয়েল টুলে। গত ১০ অক্টোবর মোটরসাইকেল চালিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখে ব্রেক চাপে টুলে। ব্যাগ খুলে দেখে এর ভেতর নগদ ৫০ হাজার ডলার। মুহূর্তের জন্য হয়তো ভাগ্য পাল্টানোর সুযোগ তার সামনে এসেছিল! কিন্তু তা গ্রহণ করেনি সে।
ব্যাগের মালিককে সেটা পৌঁছে দিয়েছেন। তার এই কৃতিত্ব মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। সততার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তাকে ‘সততার দূত’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায়। যে দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন। রাস্তায় টাকাভর্তি ব্যাগ পাওয়ার কিছুদিন পর রেডিওতে এক ঘোষণার মাধ্যমে টুলে জানতে পারে ব্যাগের মালিক এক ব্যবসায়ী। ওই ঘোষণার সূত্র ধরে ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে তাকে সেটা পৌঁছে দেয় টুলে।
এএফপিকে টুলে বলে, ‘আমার বন্ধুরা আমাকে তখন বোকা বলা শুরু করল। তার বলল, আমি জীবনে কখনো ধনী হতে পারব না। আমার বাবা-মা আমাকে কখনো চুরি শেখাননি। তাই আমি সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
টুলের এই ঘটনাটি লাইবেরিয়ায় মুখেমুখে ছড়িয়ে পড়ে। টুলের এই দৃষ্টান্তের জন্য তাকে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার প্রস্তাব দেয় প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েহ। চলতি সপ্তাহে তাকে এক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট। ‘সততরা দূত’ উপাধি দেওয়ার সঙ্গে টুলেকে মাসিক ৫০০ ডলার বৃত্তি দেওয়ারও ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েহ। প্রেসিডেন্ট জানান, স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবে সে।
টুলে বলেন, ‘আমার বন্ধুরা যা ধারণা করছে, মনে হয় না আমি এতটা গরিব থাকব। আমি তাদের উৎসাহ দিয়েছি অন্যের জিনিস না নেওয়ার জন্য।’ এএফপিকে সে জানায়, বড় হয়ে চিকিৎসক বা নার্স হতে চায় সে। এটাই তার স্বপ্ন।
আরো পড়ুন: