নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সম্বলিত আধুনিক মানের ৩০টি সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেকে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৭৯৪ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন সহায়তা পাওয়া যাবে ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক মানের সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ৩০টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর জুলাই-২০২১ থেকে ডিসেম্বর-২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৪ জেলায় ৩০টি উপজেলায় ৩০টি সাইলো নির্মাণ হবে। এতে আগামী ৩ বছরের মধ্যে সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা দেড় লাখ টন ধারণ ক্ষমতায় উন্নীত হবে। আধুনিক মানের সাইলো তৈরির ফলে সারা বছর কৃষকের নিকট হতে সরাসরি ধান ক্রয়ের সুযোগ হবে। কৃষক সহজেই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে উৎসাহিত হবেন এবং উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাবে। অধিকন্তু, কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ থেকে ৩ বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রেখে খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী ভোলা, পটুয়াখালী ও বগুড়ার মত এলাকা যেখানে ফসল বেশি উৎপাদন হয় সেখানে সাইলো নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে নদীর রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং পরিচালনার উপর আবারও জোর দিয়েছেন। পানির স্বাভাবিক প্রবাহের ক্ষেত্রে কোনও অপ্রাকৃতিক বাধা যেন তৈরি না করতে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী পুষ্টিসম্পন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য আলু বীজ, শাকসবজি এবং অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে দেশে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে চাষাবাদ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।