প্রচ্ছদ

শ্রীলঙ্কা চা দিয়ে পরিশোধ করবে ইরানের তেলের ঋণ

ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: প্রতি মাসে চা পাঠিয়ে ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানির বকেয়া পরিশোধ করার পরিকল্পনা করেছে ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। চার বছরের তেলের দাম বাবদ ২৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের ওই পাওনা মেটাতে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডলারের চা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন দেশটির বৃক্ষায়ন মন্ত্রী রমেশ পাথিরানা। খবর বিবিসির।

কিছুদিন ধরেই বৈদেশিক ঋণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের সম্মুখীন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারির কারণে পর্যটনশিল্পে ক্ষতি হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দেশটির চা বোর্ডের একজন সদস্য জানান, বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য এ প্রথম চা বিক্রি করা হচ্ছে।

রমেশ পাথিরানা জানান, তারা আগামী জানুয়ারি থেকে ইরানে চা পাঠানো শুরু করতে চান। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডলারের চা পাঠানো হবে। তবে এভাবে চললে চার বছর ধরে ঝুলে থাকা লেনদেন পুরোপুরি মেটাতে আরও চার বছরের বেশি সময় লাগবে দেশটির। প্রস্তাবিত স্কিমটি শ্রীলঙ্কার অতি প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কারণ, ইরানের কাছে সেইলন চা বিক্রি শ্রীলঙ্কান রুপিতে সেটেলমেন্ট করা হবে।

তবে দেশটির প্রধান বৃক্ষরোপণকারী সমিতির এক মুখপাত্র জানান, সরকারের এ পদক্ষেপ একটি অস্থায়ী সমাধান মাত্র। এটি রপ্তানিকারকদের তেমন কোনো উপকার করবে না।

২০২২ সালে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে, যার মধ্যে জানুয়ারিতেই রয়েছে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ডের ৫০ কোটি ডলার। এদিকে গত নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত দেশটির হাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ১৬০ কোটি ডলার।

প্রতি বছর প্রায় ৩৪ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয় শ্রীলঙ্কায়। ২০২০ সালে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ কেজি চা রপ্তানি করে শ্রীলঙ্কার আয় হয়েছে ১২৪ কোটি ডলার।

সেখানে পাহাড়ের ঢাল থেকে পাতা সংগ্রহ থেকে শুরু করে কারখানায় প্রক্রিয়াকরণ পর্যন্ত কাজে যত লোক জড়িত, তা শ্রীলঙ্কার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশের সমান।

আরো পড়ুন:

দার্জিলিংয়ে তৈরি হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতার নতুন সচিবালয়

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *