প্রচ্ছদ

শ্রীদেবীর মৃত্যুর তিন বছর পরেও যে যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল না

অভিনেতা সঞ্জয় কপূর জানিয়েছিলেন যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ বদলে যায়।

আর ফেরা হল না তাঁর সাধের মুম্বইয়ে। দুবাইয়ের হোটেলে স্নান করতে গিয়ে বাথটবে ডুবেই নাকি মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। কফিনবন্দি হয়েই মুম্বইয়ে এসেছিলেন শ্রী।

কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল? উত্তর স্পষ্ট নয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিনেতা সঞ্জয় কপূর জানিয়েছিলেন যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ বদলে যায়। দুবাই পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে।

প্রকৃত কারণ আজও নিশ্চিত নয়। এমনও হয়, মৃত্যুর তিন বছর পরেও এক জন খ্যাতনামীর মৃত্যুর কারণ অজানা থেকে যায় বা জোর করে মৃত্যুর তথ্য গোপনে রাখা হয়। এ প্রসঙ্গে কথা একটাই, মুখ খোলা বারণ। মেয়ে জাহ্নবী শুধু ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, মাকে হারানোর সময়ের চেয়ে মায়ের সঙ্গে তিনি অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন। যদিও তাঁর মনখারাপ। মায়ের না থাকার দিনের সংখ্যা প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়ছে।

জানা যায়, ২০১৮-র ২০ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন, সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং সামনেই বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্য কেনাকাটাও করবেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। অভিনেত্রীর মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে এর পর থেকেই ঘটনার ভিন্ন বক্তব্য মেলে।
শোনা যায়, শুধু খুশি নয়, জাহ্নবী এবং শ্রীদেবীর প্রযোজক স্বামী বনি কপূরও ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁরা চলে আসেন। সংবাদমাধ্যমের আর এক সূত্র যদিও দাবি করেছিল, বিশেষ কাজের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না বনি কপূর। তিনি একটি বৈঠকের জন্য লখনউ গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফের দুবাইতে যান বনি।

কিন্তু সত্যি কি বনি কপূর বিয়েতে গিয়েছিলেন? গিয়ে থাকেন যদি, চলে গেলেন কী কারণে? আর চলেই যদি গেলেন, আবার ফিরলেন এমন দিনে, যে দিন শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়। আজও এই নিয়ে ধন্দ কাটেনি বলিউডের। খ্যাতনামী এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ আজও অজানা!

বনি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন স্ত্রীকে চমকে দিতেই তিনি ২৪ তারিখ দুবাইয়ে ফিরে যান। তিনি জানান, দুবাইয়ে ফেরার পরে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর সঙ্গে গল্প করেন শ্রীদেবী। এর পর তাঁরা রাতে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সন্ধ্যাবেলা বেরনোর আগে শ্রীদেবী স্নান করতে যান। বেরোতে দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে বনি কপূর শ্রীদেবীকে ডাকেন। কিন্তু অভিনেত্রীর কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর আরও কয়েক বার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢুকে শ্রীদেবীকে বাথটবে পড়ে থাকতে দেখেন বনি। এক আত্মীয়ের সাহায্যে শ্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তিনি। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর। কিন্তু পুলিশে খবর দেওয়া হয় রাত ৯টায়।

কেন এত পরে মৃত্যুর খবর পুলিশের কাছে জানাল কপূর পরিবার? কেনই বা একা দু’দিন দুবাইয়ের হোটেলে ছিলেন শ্রীদেবী? মৃত্যুর আগে বনি কপূরের সঙ্গে কি কোনও বাকবিতণ্ডা হয়েছিল তাঁর? এই নিয়ে কথা বলেন না আর কেউ, প্রশ্ন করেন না বনি কপূরকে।
বৃহস্পতিবার শ্রীদেবীর মৃত্যুর চার বছর পূর্ণ হল। যে বনি কপূর থেকে থেকেই নেটমাধ্যমে শ্রীদেবীর নানা ছবি দেন, এ দিন দুপুর পর্যন্ত তিনি চুপ।
কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *