নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: শস্য দেবতাতে তুষ্ট করার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী গারো সম্প্রদায়রে অন্যতম প্রধান উৎসব ওয়ানগালা (নবান্ন) সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় মেঘালয়ের পাদদেশে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলার গারো সম্প্রদায় এই উৎসব করে থাকে। শনিবার থেকে শুরু হয়ে রবিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপনী ঘটে।
শনিবার দুপুরে উদ্বোধনী দিনে উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির মানুষ একত্রিত হয়। আর এই উৎসবে যোগ দিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরো নান্দনিক করে তুলেন। এ বছর নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর বিরিশিরি কালাচারাল একাডেমি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী এই উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু।
উৎসবে এসে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৪৯ টি জাতি রয়েছে। আড়াইশর মতো ভাষা রয়েছে। অনেক ভাষা তারাই হারিয়ে ফেলেছ। আমাদের সরকার সেগুলোকে রক্ষা করতেও কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের মানুষের মানসিক উন্নয়নে কালচারাল একাডেমি রয়েছে। শুধুমাত্র এই একাডেমি ছাড়াও দেশে অরো সাতটি একাডেমি রয়েছে। সকল সংস্কৃতি সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, নিজস্ব কৃষ্টি টিকিয়ে রাখতে বিরিশিরি কালাচারাল একাডেমি করেছে সরকার। বছর জুড়েই এতে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে।
এর আগে উৎসবে আসা অতিথিদেরকে গারোদের ভাষায় নৃত্যের তালে তালে বরণ করে নেয়া হয়। পরে তাদের সামনে শস্য দেবতাকে উৎসর্গ করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বাসস্থল। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বড় বড় উৎসবের মতোই গারোদের উৎসবটিও পালিত হয় জাঁক জমকপূর্ণভাবে। উৎসবকে ঘিরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ব্যবহার্য নানা জিনিস নিয়ে মেলাও বসে। তবে অনেকের দাবি এই উৎসবটি আগের মতো উন্মুক্তভাবে করতে পারলে নতুন প্রজন্ম আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পারবে বলে তারা আশা করেন।
আরো পড়ুন:
মাইডাস সেন্টারে চলছে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে বারুণী মেলা