নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ৬৩ ধরনের পণ্য পচনশীল হিসেবে গণ্য হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগের জারি করা পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস ও নিষ্পত্তিকরণ বিধিমালা ২০২১-এ এমনটা বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে পচনশীল পণ্যের এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকার পণ্যগুলোই জরুরি ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গে শুল্কায়ন করা হবে।
এবার দেখা যাক কী ধরনের পণ্য ওই তালিকায় আছে। এ তালিকায় যেসব পণ্য আছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, জীবন্ত পশু, পাখি ও প্রাণী; জীবন্ত হাঁস-মুরগি, টার্কি ও এদের বাচ্চা; জীবন্ত ও হিমায়িত মাছ, মাছের পোনা; জীবন্ত মালাকার, ইস্ট; জীবিত গাছপালা ও চারা, মাশরুম; তাজা ফুল, তাজা ফল, তাজা ক্যাপসিকাম, কাঁচা রাবার, কুল বা বরই, খেজুর, তামাক (প্রক্রিয়াজাত নয়), তেলবীজ, আলুবীজসহ সব ধরনের বীজ; খাদ্যশস্য ও শস্য, ডাল, ছোলা; চিনি, বিটলবণ, সাধারণ লবণ ও টেস্টিং সল্ট; দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত মাংস, হাঁস-মুরগির ডিম, চকলেট, বিস্কুট, সেমাই, চিপস, নুডলস, চানাচুর, আচার, শুঁটকি মাছ, চা-পাতা, কফি, সুপারি, নারকেল, ঘি, বাটার অয়েল, গুড়, বাদাম, সার, কাঁচা চামড়া, পান, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, রসুন, মরিচ, আদা, কাঁচা হলুদ, তাজা ও হিমায়িত শাকসবজি, তেঁতুল, তালমিছরি, সয়াবেরি ডি, কিশমিশ, অনধিক ছয় মাস মেয়াদযুক্ত সব খাদ্যদ্রব্য; প্রসাধনসামগ্রী; ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, পচনশীল পণ্যের বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি বা বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হলে যদি কায়িক পরীক্ষার জন্য বিবেচনা না করা হয় কিংবা শুল্ক গোয়েন্দা বা অন্য কোনো দপ্তরের কোনো আপত্তি না থাকে, অনতিবিলম্বে তা শুল্কায়নের ব্যবস্থা করা হবে। কিংবা কায়িক পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের চালান খালাস করতে হবে। আর আমদানিকারকেরা চাইলে দিনরাত যেকোনো সময় বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারবেন। আবার শুল্ক কর্মকর্তারাও দাপ্তরিক সময়ের বাইরে যেকোনো সময় পণ্য শুল্কায়নসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাতে পারবেন। এ ছাড়া পচনশীল পণ্যের জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবেন সংশ্লিষ্ট কমিশনার। নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস না করলে কিংবা অন্য কোনো কারণে খালাস করা না হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটি নিলামসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে