নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনাকালে গত দুই বছর শিক্ষার্থীদের কতটুকু পড়ালেখার ঘাটতি হয়েছে তা আমরা জানি না। তবে অনলাইনে, অ্যাসাইনমেন্ট ও বিভিন্নভাবে পাঠদান হয়েছে। আমরা এখন শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করছি।
তিনি বলেন, অতিমারি এমনটি একটি বাস্তবতা যা আমাদের অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এটি বিশ্বব্যাপী একটি ধাক্কা লেগেছে। সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও লেগেছে। সবারই চেষ্টা, আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব হলে যদি অতিমারির ছোবল না পড়ে, তবে সেখানে আমরা সেই ঘাটতি পূরণে চেষ্টা করবো। সেভাবেই পরিকল্পনা করা আছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনলাইনে ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে যে স্মার্ট মোবাইল গিয়েছে তার অপব্যবহার প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, যেকোনো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সবদিকই আছে। প্রযুক্তিবান্ধব ও দক্ষ আমাদের হতেই হবে। যুগ ও ভবিষ্যতের চাহিদা তাই এবং সেজন্য শিশু থেকে তাদের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এখনতো কম বয়স থেকে কোডিং ও প্রোগ্রামিং শেখাতে হবে, নাহলে তারা চতুর্থ বিপ্লবে টিকে থাকতে পারবে না। অথচ আমরা চাই, তারা এই চতুর্থ বিপ্লবে সফল অংশীদার হবে। সে কারণে অবশ্যই প্রযুক্তি লাগবে এবং শিক্ষক ও অভিভাবকদের নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। আমরা যেমন সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে নজরদারি করি, তেমনি প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও নজরদারি থাকতে হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: