শিক্ষামন্ত্রী জানালেন কেনো চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে
এবার শিক্ষামন্ত্রী জানালেন কেনো চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে আছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মুখস্থ ও সনদ সর্বস্ব শিক্ষা কর্মোপযোগী না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। নতুন প্রজন্মকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে যোগ্য হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি তার থেকে পিছিয়ে পড়লে চলবে না।’
মঙ্গলবার (৩১ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চাকরিদাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একটা ফারাক থেকে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের হয়ত জব-রেডি তৈরি করছি না। চাকরিদাতা একজনকে চাকরি দেওয়ার পরে এক-দুই বছর শিখিয়ে নেবে, সেটি নিশ্চয়ই করতে চাইবেন না। আমাদের শিক্ষার্থীদের সেভাবেই তৈরি করতে হবে, যাতে সে জব-রেডি হয়ে বের হয়।’
তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে বিশ্ব এত দ্রুত পরিবর্তিত হবে। আজকে যা শিখছি তা হয়তো কয় বছর পরই পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। কাজেই আমার একটা সেট আপ স্কিল থেকে আরেকটি সেট আপ স্কিলে যেন সহজেই নিজেকে নিয়ে যেতে পারি, সেটা শেখা খুবই জরুরি।’
বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য, আধুনিক এবং মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার মান উন্নত করতে সরকার সচেষ্ট বলে জানান দীপু মনি। তিনি বলেন ‘আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিখবে, সক্রিয়ভাবে শিখবে। অর্থাৎ নিজেরা নিজেরা শিখবে। তাহলে মনে রাখতে পারবে এবং সঠিকভাবে তা প্রয়োগও করতে পারবে।’
সমাবর্তনে ৬ জনকে স্বর্ণপদকসহ ৩ হাজার ৩১১ গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেয়া হয়।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক আহমেদ সিদ্দিক, বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফৈয়াজ খান।