বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে বিতর্কিত ক্রুজ ড্রাগস মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই মামলাসহ আরও ৫টি মামলা মুম্বাই ইউনিট থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে।
‘প্রশাসনিক ভিত্তিতে’ এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল) মুথা অশোক জৈন শুক্রবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, যেহেতু এই মামলাগুলোর ‘আন্তঃরাজ্য প্রভাব’ আছে, তাই সেগুলো দিল্লির অপারেশন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তবে, এনসিবির মুম্বাই জোনাল পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছেন, আমি এনসিবির মুম্বাই ইউনিটের জোনাল ডিরেক্টর ছিলাম এবং তাই থাকব। আমাকে পদ থেকে সরানো হয়নি।
শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের ড্রাগস মামলা থেকে সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইন্ডিয়া টুডেকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, আরিয়ান খানের মামলার একটি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিলাম।
মুঠোফোনে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তিনি আরও বলেছেন, আমি চেয়েছিলাম আরিয়ান খানের মামলা এবং নবাব মালিকের অভিযোগের তদন্ত একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা করুক। অতএব, দিল্লির একটি বিশেষ দল এগুলো তদন্ত করবে।
এদিকে, সমীর ওয়াংখেড়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, তাকে তদন্ত থেকে সরানো হয়নি। আদালতে তার রিট পিটিশন ছিল যে, বিষয়টি একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করবে। তাই আরিয়ানের মামলা তদন্ত করছে দিল্লি এনসিবি। পুরো বিষয়টি দিল্লি এবং মুম্বাই এনসিবি দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আরিয়ান খানসহ ৬টি মামলা এনসিবির মুম্বাই জোন থেকে কেন্দ্রীয় ব্রাঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়। এনসিবির কেন্দ্রীয় ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিং এখন ৫টি মামলার তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হবেন। এনসিবির মুম্বাই ইউনিটের জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে আর এই মামলাগুলোর দায়িত্বে নেই।
তবে, সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, তিনি ‘মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান’ চালিয়ে যাবেন।
আরো পড়ুন:
অস্কারে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ইংরেজী ছবি ‘গোর’