টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর)। শহরের ভেতর সম্মেলন করার জন্য অনুমতি পায়নি দলটি। তাই শহরের বাইরে লৌহজং নদীর পশ্চিম প্রান্তে সম্মেলন করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতারা বলেছেন, শহরের ভেতর সম্মেলন করতে না দেওয়া সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর সম্মেলন হচ্ছে। তাই এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সব উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন শেষ হয়েছে। দুই হাজার ৩২৩ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে জেলার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
জেলা বিএনপির যুগ্মআহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন জানান, তারা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাত করে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান, আউটার স্টেডিয়াম অথবা হাউজিং মাঠে জেলা সম্মেলন করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সব স্থানে অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে মূল শহরের বাইরে লৌহজং নদীর পশ্চিম প্রান্তে পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া ঈদগাঁ মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও বিভিন্ন শর্ত দিয়ে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে না যাওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।
জেলা বিএনপির অপর যুগ্মআহবায়ক ফরহাদ ইকবাল জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগদান করবেন। মূল শহরে বড় ভেন্যুতে সম্মেলন করার অনুমতি না পাওয়া দুঃখজনক। এর মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের আরও একটি উদাহরণ সৃষ্টি হলো। বৃহৎ কোনো রাজনৈতিক দলকে মূল শহরে জেলা শাখার সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি এমন নজির ইতোপূর্বে নেই।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সম্মেলন উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক আহমেদ আযম খান জানান, সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন ও আলোচনা পর্ব শেষে দুপুরের পর কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম ওরফে রিপন জানান, সভাপতি পদে ৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রত্যেকের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
সভাপতি পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন- জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক, সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম তপন এবং বর্তমান কমিটির যুগ্মআহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন। সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন, দলের জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক ওরফে সানু ও বর্তমান যুগ্মআহবায়ক ফরহাদ ইকবাল।