নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: কঠোর লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে শপিং মল ও মার্কেট। গত বছরও ঈদের আগে একই অবস্থা হয়েছিলো ব্যবসায়ীদের। এবারও সামনে ঈদ, এদিকে চলমান ‘লকডাউনের’ মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে ঈদে ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে শিগগিরই শপিং মল, মার্কেট ও দোকানপাট খোলার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কার্যাবলি চালুর বিষয়ে একাধিক জ্যেষ্ঠ সচিবও মত দিয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আসছে ঈদ উপলক্ষে দোকান মালিক এবং কর্মচারীসহ সামগ্রিক অর্থনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী রবিবারের দিকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে স্বাস্থ্যবিধি যাতে কঠোরভাবে মানা হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনীতির চাকা কিছুটা হলেও সচল করা দরকার বলে মত প্রকাশ করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম পরিবহন শ্রমিকদের বিষয়টাও মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করা দরকার বলে মত প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন চীনের গুয়াংজু প্রদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাব সমর্থন করেন সিভিল এভিয়েশন প্রতিনিধি।
দোকানপাট খুললেই গণপরিবহনের প্রশ্ন আসে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আপাতত এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আদেশ আকারে জারি হবে। এরপর এ সপ্তাহের শেষ দিকে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের দিকে আবার একটি সম্পূরক আদেশ হতে পারে, যাতে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে এর আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দোকান-শপিং মল খুলতে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে কোভিডের সময়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ শপিং মলে যেতে পারে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে সরকারের ভাবনার কথা জানিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা-ভাবনা করছে।”