নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে ঈদের আগে শপিং মলগুলো খুলতে দিলেও ফুটপাতে কোনো হকার বসতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রধান ও আনসার ও ভিডিপি অধিদপ্তর প্রধানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ ধরে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। অফিস-আদালত, গণপরিবহন, বিপণি বিতানসহ সব কিছু বন্ধ করে মানুষকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে।
সোমবার সরকার ঈদের আগে ১০ মে থেকে শপিং মলগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি যায় বাহিনীগুলোর কাছে।
চিঠিতে বলা হয়, “সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
“তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার, ফেরিওয়ালা বা অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।”
নির্ধারিত ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতিটি শপিংমলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি শপিংমল, বিপণিবিতানের সামনে ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি আছে’ লিখে ব্যানার টাঙাতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশনাগুলোও মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ, জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে বারণ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতেও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।