মাতৃভূমি

শপথ পাঠের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ শপথে অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এসময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলেও চিঠিতে জানানো হয়।

শপথ অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাব্য কর্মসূচি পাঠিয়ে নির্দেশনার চিঠিতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অবিলম্বে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে।

আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর সচিবালয়ে একটি বৈঠক শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন।

কামাল আবদুল নাসের বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ মিলিয়ে আমরা ইতিহাসের অসাধারণ সময় অতিক্রম করছি। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে সারা দেশে একটি শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। এছাড়াও এদিন প্যারেড স্কয়ারে ছয়টি দেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক একটা প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে।

নাসের বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি অংশ নেবেন। সঙ্গে থাকবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও। পুরো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সাজিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, পরিবেশ সব মিলিয়ে দেশের ৫০ বছরের অগ্রগতি-এ সবের সমন্বয়ে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে।

প্রধান সমন্বয়ক বলেন, যাদের আমন্ত্রণ জানাবো সময়মতো তাদের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানো, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন অনুষ্ঠানগুলো হয় সেটার নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও অন্য বিষয়গুলো আজকে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোথাও কোথাও করোনা পরীক্ষা করতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া কেউ সেখানে যেতে পারবেন না। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে পরীক্ষাটা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু আমরা ফলো করবো। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠান সারা দেশের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে সম্প্রচার হবে।

আরো পড়ুন:

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *