লঞ্চে অগ্নিদগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।। ৭ বার্ন বিশেষজ্ঞ ফিরলেন ঢাকাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৬১ জনের মধ্যে ৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭ জন। তারাও সুস্থ। দুই-একদিনের মধ্যে সবাই বাড়ি ফিরবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।

অগ্নিদগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠায় ঢাকা থেকে যাওয়া বার্ন বিশেষজ্ঞরা আবারও কর্মস্থলে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় ফিরেছেন সাত বার্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৩৩ জন হাসপাতালে আছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সুস্থ। বাকি ১৭ জন চিকিৎসাধীন। সুস্থ ১৬ জন ছাড়পত্র নিতে পারেন। তবে তারা যতক্ষণ এখান থেকে স্বেচ্ছায় যেতে না চাইবেন, ততক্ষণ ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮১ জনকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৯ জনকে পাঠানো হয় ঢাকায়। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

বাকি ৬১ জনের ২৮ জন সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ১৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন তিন জন। বাকি সবাই সুস্থ বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

তিনি বলেন, রবিবার ১৬ জন ও সোমবার ১২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও দুই-একদিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, আইসিইউতে যে তিন জন ছিলেন তাদের অস্থায়ী বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণে আছেন। অগ্নিদগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠায় ঢাকা থেকে আসা চিকিৎসকরা চলে গেছেন।

শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আসা সাত চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ। তবে তারা আরও কিছুদিন চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন। হাসপাতালে সংকটাপন্ন কোনও রোগী নেই। তারা সবাই দুই-একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ ৫১ জনের তালিকা দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘটনার দিন ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়। গত দুই দিনে আরও তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: বেঁচে ফেরা ২২ যাত্রী বর্ণনা দিলেন ঘটনার

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *