প্রচ্ছদ

লকডাউনে ঘরে বসেই সিডনিবাসী পাচ্ছেন সপ্তাহে ৪৮ হাজার টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বৃহত্তর সিডনিতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে গত ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে। মহামারি করোনায় অস্ট্রেলিয়ায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নগরী এখন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনি।

সিডনি নগরীর সব নাগরিকের চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিডনির মোট ১২টি স্থানীয় সরকার এলাকায় এখন চলছে লকডাউন। প্রত্যেকেই ঘরবন্দি। স্বাস্থ্যসেবাকর্মী ছাড়া আর কেউ জরুরি প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। গেলে তাকে দেড় হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হবে। কোনো মালিক যদি তার কর্মচারীকে কাজে যেতে বাধ্য করেন, তবে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার বিশেষ আইন করা হয়েছে। যারা ঘরে বসে কাজ করছেন তাদেরও কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই কঠোর লকডাউন চলবে আরও দুই মাস। খুব স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক টানাপোড়নে পড়েছেন সিডনির অধিবাসীরা। রাজ্য ও ফেডারেল সরকার এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়েছে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা। ঘরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের আর্থিক জীবন রেখায় যেন বড় ধরনের পরিবর্তন না আসে সে কারণেই বৃহত্তর সিডনির নাগরিকদের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কাজের বাইরে থেকেও নাগরিকের জীবন-যাপন যেন নিম্নমুখী না হয় সে জন্য সরকার খুব সচেতন। মহামারির প্রাদুর্ভাব থেকে সবাইকে মুক্ত রাখতে যে মানুষগুলো নিজেদেরকে কাজের বাইরে রেখেছেন তাদের নিশ্চিন্ত রাখতেই এই উদ্যোগ।

যারা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৭৫০ ডলার করে প্রতি সপ্তাহে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪৮ হাজার টাকা। বৃহত্তর সিডনি এবং তার আশেপাশের লোকজন যাদের লকডাউনের কারণে কাজের সময় কমে গেছে তারাও অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার তালিকায় আছেন।

যারা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার কম কাজ হারিয়েছেন, তারা দুর্যোগকালীন সাহায্য হিসেবে প্রতি সপ্তাহে ৩৭৫ ডলার পাওয়ার যোগ্য। তবে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনে অধিকাংশ মানুষ ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে তিন লাখ ৮৬ হাজার মানুষ সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় কাজ হারিয়েছেন বলে আবেদন করে অর্থ পেতে শুরু করেছেন। সপ্তাহের ২০ ঘণ্টারও কম সময় কাজ হারিয়েছেন এমন মানুষ ৮৩ হাজার ৫০০ জন।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, মহামারিটির প্রথম দিনগুলোর তুলনায় প্রক্রিয়াটি এখন সুগম হয়েছে। এক সময় দেশজুড়ে আবেদনের দীর্ঘ লাইন ছিল। আমরা কেবল নাগরিকদের জন্য কাজ করেছি এবং তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়েছি। কিছু ক্ষেত্রে আবেদনের আধ ঘণ্টার মধ্যেই তারা অর্থ পেয়েছেন।’

ফেডারেল সরকারের কোষাধ্যক্ষ জোশুয়া অ্যান্টনি ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, মহামারির প্রতিটি পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ানদের সমর্থন করার জন্য ‘সার্ভিস অস্ট্রেলিয়া’ ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে এবং আমরা তাদের কাজের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *