উদ্যোগ ও উদ্যোক্তাজাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সেখানে প্রতিবছর ৩৫ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। জন্মহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে সরকার।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলা হবে, তারা যেন জন্মহার নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করে। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে যৌথ টহল কার্যক্রম বৃদ্ধির সুপারিশ এসেছে। রোহিঙ্গাদের পলায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য উপকূলীয় এলাকায় নৌটহল কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। গোয়েন্দা নজরদারি চলছে, আরো বাড়াতে বলা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেইস ব্যবহার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল চলছে, তা আরো জোরদার করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে টহল দিচ্ছে। প্রয়োজনে সমন্বয়ের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী ও টহল রাস্তা নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। কাঁটাতারের বেড়ার কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গা যেন ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানে শিশুকে যে রেশন দেওয়া হচ্ছে, বয়স্ক ব্যক্তিকেও তা দেওয়া হচ্ছে। সুপারিশ এসেছে সমহারে না দিয়ে বয়সভিত্তিক রেশন দেওয়ার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ও আশপাশে মাদকের কারবার বা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। নাফ নদ দিয়ে মাদক চোরাচালান রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সভায়। মাদক চোরাচালান বন্ধে সমন্বিত টহল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছিনতাই কমেছে

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য ছিনতাই কমেছে। ১০ বছর আগের তুলনায় জিরো হয়ে গেছে। আমাদের পুলিশ অনেক সক্রিয়। সবাইকে (অপরাধী) ধরছি, আইনের মুখোমুখি করছি। করোনার কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই রকম সময়ে এরকম ঘটনা ঘটে যায়। দু-একটা ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *