খেলাধুলা

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের

শেষরক্ষা হলো না পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হাতছাড়া হয়ে গেল বাবর আজমদের। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। হার দিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। 

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রাখেন মোহম্মদ রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যান ৫৭ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে অপরাজিত থাকেন ৭৬ রানে। এছাড়া ফখর জামান ২০ বলে ২৪ ও হাসান আলী ৯ বলে ১৫ রান করেন। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার আদিল রশিদ। এছাড়া মঈন আলি দখল করেন ১ উইকেট।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ইংল্যান্ড করে ৪৫ রান। জেসন রয় এক প্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় শুরু করলেও অন্য প্রান্তে তার মতো সাবলীল ছিলেন না জস বাটলার। ইংল্যান্ডের ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার শাদাব খান।

বাটলারের বিদায়ের পরেও চালিয়ে যেতে থাকেন রয়। ৩০ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর হয়ে ওঠেন আরও আক্রমণাত্মক। শেষ পর্যন্ত উসমান কাদিরের বলে ধরা পড়েন লং অফে। বিদায়ের আগে ৩৬ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২ চারের পাশে ছক্কা একটি।

জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলির দ্রুত বিদায়ে জমে ওঠে ম্যাচ। দাভিদ মালানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মর্গ্যান। ১৯তম ওভারে মালানকে বোল্ড করে দেন হাফিজ। পরের বলে ছক্কা হাঁকান লিয়াম লিভিংস্টোন। হাফিজকে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। প্রথম বলেই আকাশে তুলে দিয়েছিলেন মর্গ্যান। ছুটে গিয়ে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি বোলার হাসান। লিভিংস্টোনের মতো পরের বলে ইংলিশ অধিনায়কও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দেন। ক্রিস জর্ডান পরপর দুই বলে দুটি ডাবলস নিয়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (রিজওয়ান ৭৬*, বাবর ১১, মাকসুদ ১৩, হাফিজ ১, ফখর ২৪, শাদাব ২, ইমাদ ৩, হাসান ১৫*; উইলি ২-০-১০-০, মাহমুদ ৩-০-৩৩-০, জর্ডান ৪-০-৩০-০, রশিদ ৪-০-৩৫-৪, লিভিংস্টোন ৩-০-২১-০, মইন ৪-০-১৯-১)

ইংল্যান্ড: ১৯.৪ ওভারে ১৫৫/৭ (রয় ৬৪, বাটলার ২১, মালান ৩১, বেয়ারস্টো ৫, মইন ১, মর্গ্যান ২১, লিভিংস্টোন ৬, জর্ডান ৪*, উইলি ০*; ইমাদ ৪-০-২৫-১, আফ্রিদি ১-০-১৬-০, হাসান ৩.৪-০-২৮-১, কাদির ৪-০-৩৫-১, শাদাব ৩-০-২২-১, হাফিজ ৪-০-২৮-৩)

ফল: ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড

ম্যান অব দা ম্যাচ: জেসন রয়

ম্যান অব দা সিরিজ: লিয়াম লিভিংস্টোন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *