খেলাধুলা

রোনালদোর দেশে খেলতে চায় আফগান নারী ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আফগানিস্তানের কিশোরী ফুটবল দলের নতুন আশ্রয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। বৃহস্পতিবার আফগান যুব ফুটবল দলের সদস্যদের আশ্রয় ভিসা নিশ্চিত করেছে দেশটি।

আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানদের হাতে চলে যাওয়ার পরেই দেশটিতে নারীদের ব্যাপারে আসছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। তালেবানের শাসনে মেয়েদের শিক্ষা বা চাকরির ওপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়াও ছিল নিষিদ্ধ। একান্ত যেতে হলে বোরখা পরে তবেই বের হতে পারবে।

এর মধ্যেই কাবুল দখল নেওয়ার পর তালেবানদের এক ঊর্ধ্বতন নেতা বলেছিলেন, মেয়েদের খেলাধুলা করার অনুমতি দেওয়া হবে না, কারণ এটি ‘প্রয়োজনীয় নয়’ এবং তাদের মুখ ও শরীর ঢাকা থাকবে না।।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর নারী ফুটবলাররা আফগানিস্তান ছেড়ে ছেড়ে চলে যান। গত ১৯ সেপ্টেম্বর আফগান কিশোরী ফুটবলাররা পর্তুগালে পৌঁছান। প্রায় ১১ দিন পর তাদের আশ্রয় ভিসা দেয় পর্তুগাল।

১৫ বছর বয়সী সারাহ পর্তুগালে আশ্রয় পাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে একজন। তিনি জানান, মাতৃভূমি ছেড়ে আসা মোটেও আনন্দদায়ক ছিল না। তবে বর্তমানে তিনি এমন এক দেশে আশ্রয় পেয়েছেন যেখানে তার পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। পাশাপাশি তার ফুটবল আদর্শ রোনালদোর সঙ্গেও দেখা হওয়ার সুযোগ হবে।

রয়টার্সকে সারাহ বলেন,’আমার স্বপ্ন রোনালদোর মত একজন খেলোয়াড় হওয়া। এবং আমি পর্তুগালে একজন বড় ব্যবসায়ীও হতে চাই।’

সারাহর আশা, একদিন তিনি তার নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফিরে যাবেন। ওই দেশে যদি তিনি মুক্তভাবে বাস করতে পারেন তবেই কেবল ফিরতে চান তিনি।

আফগান নারী ফুটবলারদের পর্তুগালে সরিয়ে নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ছিলেন আফগানিস্তানের সিনিয়র নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ফারখুন্দা মুহতাজ। গত বুধবার কানাডা থেকে তরুণ দলের সঙ্গে দেখা করতে পর্তুগালের লিসবনে পৌঁছান তিনি। তার হঠাৎ উপস্থিতিতে কিশোরী খেলোয়াড়রা দারুণ খুশি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে মুহতাজ ব্যাখ্যা করলেন মেয়েদের সেখানে সরিয়ে নেওয়ার কারণ। এ অভিযানের কোডনেম ছিল ‘অপারেশন সকার বলস’। অভিযানে কিশোরী ফুটবলার ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, ‘আমরা মেয়েদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে এনেছি কারণ আমরা চাই তারা যে খেলাটাকে ভালোবাসে সেটি যেন খেলে যেতে পারে।’

আরো পড়ুন:

সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জয় পেলো কেকেআর

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *