প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মিশনে চলতি আসরে বার্সেলোনার সেই পুরোনো লিওনেল মেসির দেখা মিলছে। ম্যাচের পর ম্যাচ নিজে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও করাচ্ছেন তিনি। আর তাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছেন পিএসজির আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ৭-২ গোলে জিতেছে পিএসজি। এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দেখিয়ে মেসি করেছেন জোড়া গোল ও অ্যাসিস্ট। আর তাতেই একাধিক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
গ্রুপ এইচের ম্যাচে মাকাবি হাইফার বিপক্ষে জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে ফরাসি জায়ান্টদের। ম্যাচে মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলের সঙ্গে নেইমার ও সোলার করেন একটি করে গোল। অপর গোলটি আত্মঘাতি।
তবে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ম্যাচের সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছেন মেসি। কারণ, দুটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করে ৪ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি। আর তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল ও অ্যাসিস্ট করার কীর্তি এখন মেসির দখলে।
মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার সময় মেসির বয়স ৩৫ বছর ১২৩ দিন। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল রোনালদোর। ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ার সময় রোনালদোর বয়স তখন ৩০ বছর। রিয়াল মাদ্রিদ ওই ম্যাচটি ৪-৩ গোলে জিতে নেয়।
মেসি আরেকটি রেকর্ডেও রোনালদোকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন মেসি ৮৫ ম্যাচ খেলে গোলসংখ্যা ৮০টি। অপরদিকে রোনালদোর গোলসংখ্যা ৭৩টি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৮টি) এখনও মেসি-রোনালদো ভাগাভাগি করছেন।
এ মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মেসি। ক্লাব ও দেশের জার্সিতে ১৮ ম্যাচ খেলে ১৫টি গোল ১২টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের এই মৌসুমে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তার গোল ও অ্যাসিস্টের সংখ্যা দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে। পিএসজির জার্সিতে এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ১১টি, অ্যাসিস্ট ১২টি।