বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ডাকাতিও হতে পারে বৈপ্লবিক। ডাকাতদলের সদস্যরা মুখোশ খুলে মিউজিয়মের বাইরে এসে অগণিত বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়ায়, সংশয় মুছে। লাল জাম্পস্যুট আর হাতে নিয়ে প্রতীকি সাদা পতাকা।
সিরিজ দেখা যায়, প্রফেসর নামের একজন মাস্টার মাইন্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটানোর জন্য একটি টিম তৈরি করেন। সেই টিমকে তিনি ৫ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে ডাকাতির জন্য প্রস্তুত করেন।
প্রশিক্ষণের শুরুতেই তিনি বলে দেন, এখানে কারো ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া এবং নিজেদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করা যাবে না। এমন কি ডাকার সুবিধার্থে তিনি প্রত্যেককে নিজের নাম হিসেবে একটি করে শহরের নাম বেছে নিতে বলেন। ফলে দলের সদস্যরা নিজেদের জন্য টোকিও, বার্লিন, মস্কো, ডেনভার, রিও ইত্যাদি শহরের নাম বেছে নেয়। এরপর শুরু হয় একের পর এক তাদের শ্বাসরুদ্ধ অভিযান।
যারা ওয়েব সিরিজ ভক্ত তারা এরই মধ্যে নিশ্চয়ই বুঝেছেন, বলছি স্প্যানিশ ক্রাইম ড্রামা ‘মানি হাইস্ট’র কথা। ‘মানি হাইস্ট’নেটফ্লিক্সে ভিন্ন ভাষার সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েব সিরিজ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এতে প্রফেসর তার দল নিয়ে স্পেনের জাতীয় টাকশালে ২৪০ বিলিয়ন টাকা ছাপাবেন তারপর তা ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। যেই ভাবনা সেই কাজ। আর এভাবেই শুরু হতে থাকে চোর পুলিশের খেলা।
এই ধারাবাহিকের চিত্রগ্রহণ করা হয়েছিল স্পেনের মাদ্রিদে। মৌসুম ৩ এবং ৪ এর উল্ল্যেখযোগ্য অংশ পানামা, থাইল্যান্ড, এবং ইতালিতে চিত্রিত হয়েছিল। ৪৩তম আন্তর্জাতিক অ্যামি পুরস্কারে সেরা নাট্য ধারাবাহিকসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছে এ টেলিভিশন সিরিজ।
সিরিজটির পঞ্চম মৌসুমের প্রথম অংশ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়, দ্বিতীয় এবং সিরিজের শেষ অংশটি ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে।
আরো পড়ুন: