নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়ান কর্মীদের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের রাশিয়ান স্পুতনিক-ভি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিন সিটি এলাকায় টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সব দেশি-বিদেশি কর্মীকে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনা হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে নিরলসভাবে কাজ চলছে। এই প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নাগরিকদের আগে থেকেই রাশিয়ান টিকা দেওয়া হচ্ছে। যা এখনো চলমান আছে। এখন রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদেরও এ টিকা দেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী জানান, রাশিয়ার পারমানবিক শক্তি সংস্থা রোসাটমের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা সাতশ ডোজ রাশিয়ান টিকা বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উপহার হিসেবে দেন।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একজন রাশিয়ান কর্মীর মৃত্যু এবং ২৩১ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোসাটমের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা প্রকল্প কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘করোনা মহামারিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি। প্রকল্পে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কাউকে আক্রান্ত মনে হলে অথবা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আলাদা করে অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে। এজন্য পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় একটি অবজারভেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আইসলেশনে নেওয়া হচ্ছে।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে প্রকল্পে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিতে হয়েছে বলে জানান পিডি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রকল্পে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী আছে। মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করা হবে।’