ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: আফগানিস্তানের নারীদের অধিকার সুরক্ষায় নতুন একজন দূত নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবান যখন নারীদের ওপর বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দিয়েছে, তখন বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিনের এই ঘোষণা এসেছে।
দেশটির পণ্ডিত ও মধ্যস্থতা বিশেষজ্ঞ আফগান-বংশোদ্ভূত রিনা আমিরি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন। এবার তাকে আফগানিস্তানের নারী, শিশু ও মানবাধিকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।-খবর এএফপির
দুই দশকের যুদ্ধ শেষে কয়েক মাস আগে আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্লিংকিন বলেন, আমিরি এমন কিছু দায়িত্ব পালন করবেন, যা আমার ও মার্কিন প্রশাসনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ আফগানিস্তানের আকাঙ্ক্ষা করছি, যেখানে সব আফগান বেঁচে থাকতে পারবেন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবেন।
সেই লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ দূত আমিরি নিবিড়ভাবে কাজ করবেন বলে জানান অ্যান্থনি ব্লিংকিন। গেল দুদশক ধরে আফগান-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মার্কিন সরকার, জাতিসংঘ ও থিংক-ট্যাংকসকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন এই নারী কূটনীতিক।
বারাক ওবামার আমলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আমিরি।
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশোধের ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের পুনর্বাসন ও নিরাপদে সরিয়ে আনতে মার্কিন অভিযানের নারী ও শিশুবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রবীণ কূটনীতিক স্টেফানি ফস্টারকে।
আরো পড়ুন:
ইন্দোনেশিয়া ১২০ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় মানবাধিকারের জয় হলো : ইউএনএইচসিআর