নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাংলাদেশে টিআইএনধারী ব্যক্তিদের মধ্যে শূন্য রিটার্ন দেওয়ার মতো প্রায় ৪০ লাখ করদাতা আছেন। তাদের সিংহভাগই রিটার্ন দেন না। শূন্য রিটার্ন মানে, আপনার করযোগ্য আয় নেই। আপনার বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকা পেরোয়নি।
হয়রানি বা জটিলতার ভয়ে করযোগ্য আয় না থাকা সত্ত্বেও অনেক টিআইএনধারী শূন্য রিটার্ন জমা দেন না। মনে রাখতে হবে, শূন্য রিটার্ন মানে রিটার্ন ফরমের সবকিছুই শূন্য রেখে দেওয়া নয়। বার্ষিক রিটার্ন ফরমে আয়-ব্যয়ের হিসাব করে দেখিয়ে দিতে হবে যে আপনার করযোগ্য আয় নেই। কিন্তু অনেক টিআইএনধারী কাজটি করতে চান না।
এমন করদাতাদের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবারে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সেটি হলো, আপনাকে ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন নিতে হবে। এরপর সাইন ইন করে শুধু কিছু তথ্য যেমন, টিআইএন নম্বর, বেতন বা বার্ষিক আয়ের তথ্য দিলেই পুরো রিটার্ন বানিয়ে দেবে এনবিআর। তখন আপনি চাইলে অনলাইনেই রিটার্ন দিতে পারবেন। কেউ যদি মনে করেন, কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দেবেন। তাহলে তিনি প্রিন্ট নিয়ে কর কার্যালয়ে তা জমা দেবেন। কর কর্মকর্তারা কোনো প্রশ্ন করবেন না। ই-রিটার্ন সিস্টেমের ঠিকানা হলো www.etaxnbr.gov.bd।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব টিআইএনধারীর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে দেশে প্রায় ৬৭ লাখ টিআইএনধারী আছেন। কিন্তু প্রতিবছর ২৫-২৬ লাখ করদাতা বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়বে না। গতকাল এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। সেখানে অনানুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার ৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
এমনিতেই এখন আইনিভাবে রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু গতবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হয়েছিল।
আরো পড়ুন: