বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বছর খানেক আগে খবরে এসেছিলেন মেদ ঝরিয়েছিলেন বলে। আবারও তিনি খবরে। তবে এ বার আর ভক্তরা তার ওজনের হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত নন। বরং তার চেয়ে অনেক বেশি চর্চায় তার মানি পার্স বা পে প্যাকেটের ওজন। না হলে ২০ কোটি টাকা দিয়ে বাংলো কিনতে পারেন!

হিন্দি টেলিভিশনের অভিনেতা রাম কাপুর একটি বাড়ি কিনছেন। মহারাষ্ট্রের অলিবাগের সেই ছুটি কাটানোর বাড়ির দামই ২০ কোটি। বাড়িটির অবসর যাপনের আরামদায়ক সব ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে বহু বলিউড অভিনেতারও।

রামের অবশ্য এটি চার নম্বর বাড়ি। এর আগে মহারাষ্ট্রের শৈলশহর খান্ডালায় বাংলো কিনেছিলেন। সেটি আছে। রয়েছে গোয়াতে কেনা ছুটি কাটানোর আরও একটি বাড়ি। এমনিতে দক্ষিণ মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় একটি সবুজ ঘেরা ফ্ল্যাটে সপরিবারে থাকেন অভিনেতা। অলিবাগের বাড়িটি রামের নতুন অজ্ঞাতবাসের ঠিকানা।

মুম্বইয়ের কাছেই উপকূল শহরতলি অলিবাগ। মুম্বইয়ের সংযোজিত শহরাঞ্চলের মধ্যেই অবস্থান। তবে শহরাঞ্চলের মধ্যে থেকেও শহুরে কোলাহলমুক্ত এলাকা অলিবাগ। যা মুম্বইয়ের অভিজাতদের অবসর যাপনের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে ইদানীং।

বলিউড তারকারা যখন কেউ ইতালি বা কেউ রাজস্থানের রাজপ্রাসাদে বিয়ের আসর সাজাচ্ছেন, তখন অভিনেতা বরুণ ধবন নিজের বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন অলিবাগকে। অলিবাগের স্থানমাহাত্ম্য আরও বাড়িয়েছেন হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। বলিউডের খ্যাতনামী অন্দরসজ্জা শিল্পী সুজান অলিবাগের একটি আবাসনকে সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছেন।

সেই অলিবাগে বাড়ি কিনেছেন টেলিভিশন অভিনেতা রাম। কী কী আছে সেই বাড়িতে? অন্দরসজ্জাই বা কী রকম? বাড়িটির বিভিন্ন অংশের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তার কয়েক ঝলক রইল এখানে।

লিভিংরুম। বাড়ির অবসর যাপনের ঘরটি বেশ বড়। দেওয়ালজোড়া কাচের জানলা পেরিয়ে দেখা যাচ্ছে বাগানের দৃশ্য। ঘরের ভিতরে মুখোমুখি বড় দু’টি সোফার মাঝখানে ঝুলছে ঝাড়লণ্ঠন। দেখে বোঝা যায় সময় নিয়ে সাজানো হয়েছে জায়গাটি।

বেডরুমের একটি দেওয়াল কাচের। ছাদ থেকে মাটি পর্যন্ত কাচের দরজা। সেই দরজা ঠেলে বাইরে বেরোলেই পা পড়বে সবুজ ঘাসে। তার সামনে নীল জলের সাঁতার পুকুর। পাশে ডেক চেয়ার। সবুজ ঘেরা চারপাশে। ঘুম ভাঙার পর ছুটির সকাল এমনই হওয়া উচিত, মনে করেন রাম! অভিনেতার কথায়, ‘‘ছেলে মেয়েরা সব সময় সঙ্গে থাকব না। আমি আর আমার স্ত্রী এইখানেই একসঙ্গে বৃদ্ধ হতে চাই।’’

প্রশস্ত খাবার ঘরের মাঝ বরাবর লম্বা কাঠের ডাইনিং টেবল। গদি আঁটা চেয়ার। ১২ জন আরাম করে বসতে পারেন সেখানে। লাগোয়া অত্যাধুনিক সজ্জার রান্না ঘরটি কাচের স্বয়ংক্রিয় দরজা দিয়ে আড়াল করা। বড় বড় জানলা দিয়ে এ খান থেকেও দেখা যায় বাগান।

নববর্ষের ছুটিতে সপরিবারে মলদ্বীপে যাবেন রাম। তবে তারপর প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেই অলিবাগে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। অভিনেতা বলেছেন, ‘‘খান্ডালা এবং গোয়ার বাড়িও আমার প্রিয়। তবে আমার মূল বাড়ি থেকে সেগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। অলিবাগে যাওয়া সে দিক থেকে অনেক বেশি সুবিধাজনক। ইচ্ছে হলেই চলে যাওয়া যায়।’’

ওজন নিয়ে এখন অনেক সতর্ক রাম। রামের স্ত্রী অভিনেত্রী গৌতমী কাপুরও নিয়মিত ফিটনেস চর্চা করেন । রামের নতুন বাড়িতেই জিম আছে। আছে সুইমিং পুলও।

রাম জানিয়েছেন ‘‘বরাবরই আমার স্বপ্ন ছিল এমন একটা বাড়ি কেনার, যেখানে আমার নাতি নাতনিদেরও খেলে বেড়াতে দেখব। অলিবাগের বাড়িটা কেনার পর মনে হচ্ছে সেই স্বপ্নপূরণ হল।’’

কিন্তু কী করে হল এই পূরণ! গত দু’বছরে পর পর ছবি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন রাম। যদিও এই মুহূর্তে তিনি কোনও বড় ছবি বা টেলিভিশনের ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন বলে শোনা যায়নি।

আরো পড়ুন:

আসছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান টু’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *