নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ঢাকা মহানগরে আটটি স্কুলে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান চলছে। এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৪৬ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৮ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে। ১০ দিনে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সক্ষমতা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে বাড়ানো হবে টিকার সংখ্যা।
টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, রাজধানীর আটটি কেন্দ্রের প্রতিটিতে প্রতিদিন পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে মোট ৪০ হাজার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ধারণক্ষমতা না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শুরুতে প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে আড়াই হাজার করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী টিকা দেওয়ার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভেতরে ধারণক্ষমতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক আসায় কেন্দ্রের গেটের সামনে ভিড় তৈরি হয়। সেটি বিবেচনা করে সংখ্যা বাড়ানো হবে। পরিমাণ বাড়ালে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেটিও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে কোনো শিক্ষার্থী টিকা নেওয়ার নির্ধারিত সময়ে অনুপস্থিত থাকলে পরে টিকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক অভিভাবক।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক বলেন, কোনোভাবে শিক্ষার্থী নির্ধারিত দিনে টিকা না পেলে স্কুলে তথ্য জানাতে হবে। কতজন টিকা পায়নি সেটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে দিলে সেটি আমাদের কাছে পাঠানো হবে। টিকা বঞ্চিতদের নতুন করে তালিকা সেই কেন্দ্রে পাঠানো হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও তাদের কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য এসএমএস দেওয়া হবে।
১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর টিকা দেওয়া শুরু হয় রাজধানী ঢাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল ও স্কলাসটিকা স্কুল কেন্দ্রে।
আরো পড়ুন: