নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: মার্চে রেমিট্যান্স বাড়লেও দু’মাস ধরে কমছে রপ্তানি আয়। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রপ্তানি আয় কমার এমন প্রবণতাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না অর্থনীতিবিদরা। তবে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। পরের মাস আগস্টেও ছাড়ায় ২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এরপর টানা ৬ মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ২ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
তবে মার্চে আবারও গতি ফিরেছে প্রবাসী আয়ে। এ সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০২ কোটি ডলার।
এছাড়া অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এসময়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলন ১ হাজার ৫২৯ কোটি ডলার।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ঈদের আগের মাসে ব্যাপকভাবে রেমিট্যান্স এসে থাকে বাংলাদেশে, এটা প্রতিবছর হয়। এবছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এই মাসে রপ্তানীতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। তবে রেমিট্যান্সের প্রবাহে ক্ষতিটা পুষিয়ে যাবে।”
এদিকে, বিদায়ী মার্চে কমেছে রপ্তানি আয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, এসময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে দেশ আয় করেছে ৪৬৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস; অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এসময় পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় ৪ হাজার ১৭২ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময় রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বর্তমানে যে বিশ্ব প্রেক্ষাপট তাতে আমাদের রপ্তানি খারাপ হয়নি। কিন্তু গতমাস পর্যন্ত ১০ উপরে ছিল আমাদের প্রবৃদ্ধি। যে আশঙ্কা প্রকাশ করছে উদ্যোক্তা রপ্তানিকারক, তারা বলছেন অর্ডার কমে গেছে “
রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি-বাণিজ্যে আরও গতি আনার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সব মিলিয়ে আমরা একটু খারাপ সময়ের দিকে যেতেও পারি।”
এসি/আইকেজে
আরো পড়ুন: