উন্নয়ন

যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে পদ্মা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: পদ্মা সেতুর অবকাঠামো দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। শুধু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় নয়, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বাংলাদেশকে এগিয়ে দেবে একধাপ, এমনটাই মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি আর ৪৫০ মিটার। অর্থাৎ আর মাত্র ৩টি স্প্যান যোগ করা হলেই নদীর বুকে দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মা সেতু।

সেতুতে যান চলাচল শুরু করতে আরও ১ বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হলেও এর মধ্যেই সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে খুলে দেয়া হয়েছে সেতুর দুই পাশের মহাসড়ক, যেটি দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ৫৫ কিলোমিটারের এ এক্সপ্রেসওয়ে দেশের সড়ক অবকাঠামোতে যোগ করেছে উন্নয়নের এক নতুন মাত্রা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘পরিবহনের এই যে অর্জনটা এর পাশাপাশি একটা সক্ষমতার ব্যাপারও কিন্তু সবাইকে জানান দেয়া হলো যে বাংলাদেশ এখন সক্ষম এ ধরণের মেগা প্রজেক্ট করার জন্য। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যে অংশগুলো ঢাকার এত কাছাকাছি থাকার পরও উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল, বিনিয়োগ বঞ্চিত ছিল তারা এখন উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে শুরু করেছে।

সেতুর আগে যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আর সেতু পেরিয়ে পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটির ফলে আঞ্চলিক যোগাযোগ অবকাঠামোর সঙ্গে যোগ দিতে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘আশেপাশের যে দেশগুলোর সাথে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাই, আমাদের ভৌগলিকগত কারণে যে ডিভিডেন্ডটা আমরা নিতে চাই তার বিরাট অন্তরায় ছিল কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের সরাসরি অবকাঠামো, একটা সংযোগ। রিজিওনাল কানেক্টিভটিতে আমরা কিন্তু নিজেদের উন্নয়নের সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে এখান থেকে ডিভিডেন্ড আমরা নিতে পারব’।

আগামীদিনে যান চলাচলের জন্য সেতু প্রস্তুত হয়ে উঠলেই দেশের জিডিপির বড় যোগানদাতার উপলক্ষ হয়ে উঠবে পদ্মা সেতু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *