ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: স্টেশনের নাম গুয়াখড়া রেলওয়ে স্টেশন। এক সময় এই স্টেশনে ৩-৪ টি ট্রেন নিয়মিত থামতো। বিক্রি হতো টিকিট। যাত্রীদের কোলাহল ছিল সর্বক্ষণ। পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুয়াখড়া রেলস্টেশন থেকে ডিকশি বিল, বগা বিল আর রুতনীডাঙ্গা বিলের মাছ ট্রেনযোগে চলে যেতো বিভিন্ন অঞ্চলে। এখন সেই স্টেশনে আর ট্রেন থামে না বললেই চলে।
বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া একটি লোকাল ট্রেন শুধু থামে। তবে যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হয় ট্রেনের মধ্যেই। স্টেশনের কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি হয় না। কারণ স্টেশন মাস্টারের অফিসটি বন্ধ। ভেঙে গেছে। রেলওয়ের ২টি ভবন এখন ধ্বংসপ্রায়। পরিত্যক্ত ভবন ২টি তালাবদ্ধ। স্টেশনের অদূরে কোয়ার্টারগুলোও পরিত্যক্ত। রেলেও জায়গা চলে গেছে নানাজনের দখলে।
আশপাশের জলাশয়গুলো ইজারা নিয়ে মাছের চাষ করছেন অনেকে। স্টেশনের ওপরে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা নাকি লিজ নিয়েছেন জায়গা।
এলাকাবাসী জানায়,একজন পুটার নাকি খালাসি মাঝে মধ্যে পাকশী থেকে আসেন।
স্টেশনের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, ‘এখানে ভোরে একটি লোকাল ট্রেন শুধু থামে। এলাকার অনেকেই রেলের জমি জবর দখল করে রেখেছেন। কেউ দেখেও না, খোঁজও নেয় না। গুয়াখড়া এখন শুধু নামেই রেল স্টেশন। সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরো পড়ুন: